খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নস্থ ভদ্রা নদীর ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামত সম্ভব হয়নি। শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় এলাকাবাসি চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ফলে এলাকায় ফের জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি ভেসে গেছে বহু মাছের ঘের ও আমনের বীজতলা।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে জোয়ারে ভদ্রা নদীর অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ২২ নং পোল্ডারের কালিনগর বাওয়ালি বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় এক শত মিটারের বেশি এলাকা জুড়ে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে যায়। মূহুর্তের মধ্যে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাঙ্গনে সেখানকার কালিনগর, হরিনখোলা, দারুণমল্লিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এতে সদ্য রোপণকৃত ধান ও বীজতলাসহ বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা নাগাদ পুরো ২২ নং পোল্ডার এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
দেলুটি ইউনিয়নের দারুণ মল্লিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকার জানান, এলাকাবাসীর সহায়তায় বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করেও প্রবল পানির তোড়ে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার পলাশ রায় বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই স্থানে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল। ভাটার সময় স্থানীয় লোকজন বাঁধগুলো সংস্কারের চেষ্টা করে। দুপুরের দিকে জোয়ার আসলে কালিনগর গ্রামের বাঁধটি প্রায় ২০০ হাতের মত ভেঙে যায়। পরবর্তীতে শুক্রবার শত শত এলাকাবাসি মিলে চেষ্টা করেও বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২২ নং ফোল্ডারের অভ্যন্তরে থাকা ১৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খুলনা পওর-২ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, বাঁধভাঙ্গার খবর পেয়ে সেখানে ভেকু পাঠানো হয়। বাঁধে মাটি দিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি, ফের ভেঙে যায়। সেখানে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা চলছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাবের সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে ২২ নং ফোল্ডারের গোপী পাগলা গ্রামের বাঁধ ভেঙ্গে এই ১৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।