চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্ধবপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমানের পরিবারকে ভিটা থেকে উৎখাতের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমানের বাড়ির পাশে সংযুক্ত করে রিপন মুন্সী ও সাখাওয়াত মুন্সী নামে দুই ভাই একটি গোয়ালঘর স্থাপন করে গরু পালন করে আসছে। এতে গরু মল মূত্র ও বর্জ্যের গন্ধে বাড়িতে বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান জানা, অন্যত্র তাদের গোয়ালঘর রয়েছে তারপরেও তারা আমার ঘর লাগোয়া গোয়ালঘর তৈরি করেছে। এতে করে শুধু আমার পরিবারই না আরও বেশ কয়েকটা পরিবারের ভুক্তভোগী । গোয়াল ঘরে গরু পালনের কারণে অনেক কষ্টে আছি। আমি শারীরিকভাবে এত কষ্ট ভোগ করছি যে কিছুদিন আগে আমাকে ফুসফুসের ইনফেকশনের জন্য ডাক্তার দেখাতে হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাসের কারণে এমনটা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি যাতে খুব দ্রুতই এই গোয়াল ঘরটি সরিয়ে নেয়া হয়
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আমাদের পরিবারে সাফল্যে হিংসা পরায়ন হওয়ার পাশা পাশি ভিটেবাড়ি থেকে আমাদের উৎখাত করার জন্য রিপন মুন্সী ও সাখাওয়াত মুন্সী দুই ভাই এমন অভিনব পন্থার আশ্রয় নিয়েছে।
রাশেদ মুন্সী নামের আরেক ভুক্তভোগী বলেন, যেখানে গোয়াল ঘরের স্থাপন করা হয়েছে তার পাশেই দুটি মহিলাদের ঘাটলা রয়েছে। যেখানে বাড়ির সকল মহিলা গোসলসহ পারিবারিক কাজ করে। এই সুযোগে গোয়াল ঘরের গরু দেখাশোনার নাম করে মাঝেমধ্যেই মহিলাদেরকে বিভিন্নভাবে রিপন মুন্সী ও শাখাওয়াত মুন্সী কর্তৃক লাঞ্চিত হন। কিন্তু একাদিক বার সামাজিক সালিশ করেও এর কোন সূরা করা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এই গোয়াল ঘর নিয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীদের সাথে তাদের উচ্চবাচ্য ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকে। দুই পক্ষের ব্যাপক ঝগড়াঝাটি মারামারি এক পর্যায়ে ইউসুফ মুন্সী নামে একজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার অন্ডকোষ চেপে ধরে দুই ভাই রিপন এবং সাখাওয়াত এবং তাদেরকে সহযোগিতা করে তাদের চাচা শাহাজান মুন্সী ও সিদ্দিক মুন্সী।
এই সম্পর্কে স্থানীয় মেম্বার নূর মোহাম্মদের সাথে কথা বললে উনি বলেন “এই ঝামেলাটা দীর্ঘদিনের আমরা সামাজিক ভাবে বসে রিপন মুন্সী এবং শাখাওয়াত মুন্সি কে গোয়াল গোরটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেই কিন্তু তারা কারো কথাই মানেনা”।