ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেলামি ছাড়া সরে না হাতি

পড়নে জিন্সের প্যান্ট আর হলুদ গেঞ্জি। হাতে রয়েছে ছোট একটি চিকন লাঠি । হাতির পিঠে বসা এক যুবক মাহুত। উপর থেকে ওই যুবক(মাহুত) দিচ্ছে নির্দেশনা। নির্দশনা পেয়ে ঘুরছে শহরের অলিগলি। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে দোকানীকে দিচ্ছেন সালাম। হাতি দেখে কেউ দিচ্ছেন টাকা, আবার কেউ বা দিচ্ছেন ফল ফলাদি। তবে দোকানের লোকজন যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা না দিচ্ছেন ততক্ষন পযর্ন্ত হাতি নড়ছে না। সেলামি ছাড়া যায় না হাতি। বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন। তবে শুধু দোকানেই সিমাবদ্ধ নয় সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করে ও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে। তবে ১০ টাকার কম হলে হাতি নিচ্ছে না টাকা।
এদিকে সড়ক বাজার এলাকায় হাতি ঘুরতে দেখে ব্যবসায়ী,পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন ভিড় করেন। আবার অনেকে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি হাতির ছবিও তুলেন।

ব্যবসায়ী মো. মিজান মিয়া বলেন, সন্ধ্যা পর হঠাৎ তার দোকানের সামনে বড় আকাড়ের একটি হাতি দেখে প্রথমে আমি আতকে উঠি। এরপর হাতিকে ১০ টাকা দেওয়া হলে চলে যায়। অনেক সময় দিনের বেলা হাতি আসতো শহরের অলিগলি যেতো। কিন্তু সন্ধ্যার পর আসায় লোকজনরা আতকে উঠেন।

ফল মো. বাছির মিয়া বলেন, ফল বিক্রিতে যখন ব্যস্ত ঠিক তখন হঠাৎ হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। হাতিকে প্রথমে কয়েকটি ফল দেওয়া হয়। এরপর ১০ টাকা দেওয়ায় চলে যায়।
মো: আফজাল হোসেন বলেন, কয়েক মাস পর পর বাজারে হাতি দেখতে পাওয়া যায়। হাতি দিয়ে কৌশলে টাকা আদায় করা হয়।

পথচারী মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, প্রয়োজনীয় কাজ করতে আখাউড়ায় আসেন। এক পর্যায়ে সড়ক বাজার মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় বড় আকারের একটি হাতির দেখতে পান। এরপর হাতির কয়েকটি ছবি তোলা হয়েছে।
হাতির মাহুত সুনামগঞ্জের মো: উজ্জ্বল মিয়া বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই হাতিটি লালন পালন করছেন। প্রায় সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে নিয়ে যান। এখানে বেশ কয়েকটি জায়গাতে হাতি নিয়ে ঘুরা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে চলতে আসা যাওয়ার পথে অনেকে খুশি হয়ে টাকা ও বিভিন্ন রকমের ফল তুলে দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন