ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের আকার বাড়লো ৬ লাখ ২১ হাজার বর্গ কি.মি.

যুক্তরাষ্ট্রের আকার বাড়লো ৬ লাখ ২১ হাজার বর্গ কি.মি.

গত একমাসে যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রসীমা বেড়েছে ৬ লাখ ২১ হাজার বর্গকিলোমিটার যা গোটা স্পেনের মূলভূখণ্ডের প্রায় দ্বিগুণ। জানা গেছে, মহীসোপানে নিমজ্জিত ছয়টি অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় দেশটির এক্সটেন্ডেড কন্টিনেন্টাল শেলফের (ইসিএস) আয়তন বেড়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র উপকূলের ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় অগভীর অঞ্চলকে ইসিএস বলা হয়। এই ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বিশালাকার ইসিএস এলাকাটি হলো আর্কটিক যা উত্তরে ৬১২ কি.মি প্রশস্ত এবং পশ্চিমাঞ্চলে এক হাজার ৯৪ কি.মি এরও বেশি দীর্ঘ।

দেশটির ভূত্বাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চল (সমুদ্রসীমা) যা সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য অনেক জরুরি এবং সেখানে অতি প্রয়োজনীয় আবাসস্থল রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন যুক্ত হওয়া ইসিএস অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে আটলান্টিকের পূর্ব উপকূল, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল, বেরিং সাগর, মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ এবং মেক্সিকো উপসাগরের দুটি অংশ।

এছাড়াও, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) জানিয়েছে, অন্যান্য দেশের মতো আন্তর্জাতিক আইন মেনে যুক্তরাষ্ট্রেরও এর ইসিএসের আওতাধীন অঞ্চলের সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ অধিকার রয়েছে। মার্কিন ভূখণ্ডে যোগ হওয়া এই বিশালাকার অঞ্চলের আয়তন স্পেনের প্রায় দ্বিগুণ।

একইসময় ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক উইলসন সেন্টার জানিয়েছে, এই বিশালাকার অঞ্চলের সংযুক্তির ফলে আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাববলয় আরও জোরদার হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন