জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন ছয়টি আবাসিক হল এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব স্থাপনার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অধিকতর উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সেই প্রকল্পের প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা ছয়টি নির্মাণ করেছি। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক খাতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলমান রয়েছে। বিশেষ করে ‘শেখ রাসেল হল’ ও ‘শেখ কামাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স’ এর নামকরণের অনুমোদনও দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে এই অভূতপূর্ব সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এর আগে, চলমান বছরের ১০ই আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় নবনির্মিত ছয়টি হলের মধ্যে মেয়েদের তিনটি ১৭,১৮ ও ১৯ নম্বর হলের নামকরণ করা হয়, যথাক্রমে বেগম রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা হল ও বীর প্রতীক তারামন বিবি হল এবং ছেলেদের তিনটি হল ২০,২১ ও ২২ নম্বর হলের যথাক্রমে শহীদ তাজউদ্দীন হল, শেখ রাসেল হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল নামকরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়নের জন্য ২০১৮ সালে ১৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩টি স্থাপনা তৈরি হবে। এ প্রকল্পের আওতায় আবাসিক হলের আসন সংকট নিরসনে এক হাজার আসন বিশিষ্ট ছয়টি হল নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে দুইটি হল শিক্ষার্থীদের জন্য এ বছরের শুরুতে খুলে দেয়া হয়। বাকি চারটি হলে চলতি বছরের ৪ ই ডিসেম্বরেই মধ্যেই শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।