পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান খন্দকারসহ (২৮) তাঁর দুই সহযোগির বিরুদ্ধে মারপিট, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগে মামলায় দায়ের করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ঈশ্বরদী পৌর শহরের পুর্ব টেংরী হাসপাতাল এলাকার মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে ডিস লাইন ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হাসান বাসীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ নেতা আরমান খন্দকার পৌর শহরের মাহাতাব কলোনির মৃত জামাল খন্দকারের ছেলে। মামলার অপর দুই আসামীরা হলেন, একই কলোনির মোঃ বকুলের ছেলে মোঃ মান্না (২৪) ও মোঃ সিরাজের ছেলে মোঃ জুয়েল (২৪)। তারা দুজনই ছাত্রলীগ নেতা আরমান খন্দকারের সহযোগি।
মামলার এৎাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে শহরের বকুলের মোড়ে ডিস লাইন ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ লোকজন নিয়ে ডিস লাইন সংযোগ ও মেরামত কাজ করতে ছিলো। এই সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান খন্দকারের নেতৃত্বে মান্না ও জুয়েলসহ অপ্সাত ৭-৮জন মোটর সাইকেল যোগে দেশী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারপিটে আহত করে। এই সময় হামলাকারীরা সাব্বিরের নিকটে থাকা ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকা, এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা মুল্যের ডিস লাইনের ফাইবার সংযুক্ত করা মেশিন ও ২২ হাজার টাকা মুল্যেও ফাইবার পাওয়ার মিটার যন্ত্র কেড়ে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী সাব্বির আহমেদ জানান, মামলা করায় ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরমান খন্দকার তাকে নানা ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
এই বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান খন্দকার জানান, ডিস ব্যবসায়ী সাব্বির আহমেদ জামায়াত নেতা আলাউদ্দিনের ছেলে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তার বিরুদ্ধে এই গায়েবি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। কারণ ঘটনার সময় সেখানে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলেন না।
আরমান খন্দকার আরও জানান, তিনি নিজ দলীয় গ্রুপিং রাজনীতিতে শিকার। তার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে। দলের নিকট তার ভাবমুর্তি নষ্ট করতেই প্রতিপক্ষ জামায়াত বিএনপির লোকজনকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময় জানান, তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরমান খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। ঘটনা সত্য হলে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ তদন্ত করে অবশ্যয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হাসান বাসীর জানান, মামলার বিষয়টি তদন্ত করে করে দেখা হচ্ছে। এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।