শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যোগাযোগের নতুন দুয়ার খুলছে আজ

সড়ক যোগাযোগে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের অপেক্ষায় ঢাকাবাসী। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আজ। শুরুতে সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথের ১২ কিলোমিটার।

সড়ক যোগাযোগে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের অপেক্ষায় ঢাকাবাসী। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আজ। শুরুতে সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথের ১২ কিলোমিটার। যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মানুষ চলাচল করতে পারবে উড়াল সড়ক দিয়ে।

ঢাকার বুকে নতুন সড়ক। মাথার উপর দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত রেললাইন ধরে যাচ্ছে এই পথ। এখন পুরোপুরি প্রস্তুত ফার্মগেইট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার।

যদিও এই যাত্রাটা খুব একটা মসৃণ ছিলো না কৃর্তপক্ষের জন্য। অর্থ সংস্থানে জটিলতা, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, মাঝে করোনার থাবা, গেলো ১২ বছরে কম ধাক্কা খায়নি ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২০১১ সালে নেয়া এই প্রকল্পে সার্বিক অগ্রগতি এখন ৬৫ শতাংশ। কাজ বাকি আছে তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত।

এই যাত্রায় বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশের ৫টি পয়েন্ট দিয়ে গাড়ি উঠতে ও নামতে পারবে। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উঠা ও নামার জন্য থাকবে একটি করে র‍্যাম্প। কুড়িলে উঠার পথ ২টি আর নামার একটি। বনানীতে দুটি র‍্যাম্প উঠার আর দুটি নামার। মহাখালীতে নামা যাবে দুই পথে তবে উঠা যাবে একটি পথে। আর ফার্মগেইটে নামার পথ একটি তেঁজগাও কলেজের সামনে আর উঠার র‍্যাম্প ৩টি। মোট ১৬টি র‍্যাম্পের মধ্যে ১৩টিতে যানবাহন চলাচল করবে শুরুতে।

এই পথে উঠবে না তিন চাকার আর দুই চাকার কোনো যানবাহন। থাকবে না ফুটপাত। নির্ধারণ করা হয়েছে যানবাহনের টোলও। প্রাইভেট কারে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা। একই টোল-হার মাইক্রোবাস, পিকআপ, হালকা ট্রাকের ক্ষেত্রে। তবে মাঝারি ট্রাকে ৩২০ টাকা এবং ভারী ট্রাক চলাচলে গুনতে হবে ৪শ টাকা। এছাড়া, সবধরণের বাসের গুনতে হবে ১৬০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  বিদেশ ফেরত যুবকের বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন

৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়া সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। পিপিপি অর্থায়নে চলমান এই প্রকল্পের ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে ইতালি ও চায়নার ৩টি প্রতিষ্ঠান যা আগামী ২৫ বছরে তারা তুলে নেবে। এছাড়া বাকি ২৭ শতাংশ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে ভিজিএফ পদ্ধতিতে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন