ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাস্তায় ধান লাগিয়ে বাম্পার ফলনের আশায় এলাকাবাসী

রাস্তায় ধান লাগিয়ে বাম্পার ফলনের আশায় এলাকাবাসী

বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশে কৃষকরা ধান রোপন বা চাষ করবে এটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ধান যদি রোপন করা হয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাতায়াতের প্রধান রাস্তায়। আবার সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যদি হয় প্রায় ১৩৩ বছরের পুরাতন। ভাবছেন প্রতিবেদক হঠাৎ এসব কি বলছে? হ্যাঁ ঠিকই বলছি।

এমনই ঘটনা ঘটেছে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলায়। সরেজমিনে গত রবিবার ২৭ আগষ্ট পত্নীতলা উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের রসকানাই গিয়ে দেখা যায় স্থানীয়রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবার মূল সড়কটি তে ধান রোপন করছে। এমন কাজ দেখে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের এই রাস্তাটি অনেক পুরাতন। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে কোমলমতি শিশুরা। শুধু তাই নয় এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত যাতায়াত করে অসংখ্য সকল বয়সের মানুষ। সামান্য বৃষ্টি হলেই এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। গ্রামের সকল মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বাহিরে যেতে পারেনা। ছেলে- মেয়েরা স্কুলে যেতে পারেনা। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরা দীর্ঘ্যদিন ধরে সকল মহলের কাছে দাবি জানিয়ে আসতেছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আজ আমাদের প্রতিবাদের একটি অংশ হলো রাস্তাটিতে ধান রোপন করা।

এবিষয়ে অত্র এলাকার তরুণ ইউটিউবার মো: আবু জাফর বলেন, আমরা দীর্ঘ্যদিন ধরে এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসতেছি। তারা সাস্তনা দিয়েছেন এখন আমাদেরও সাস্তনা দিয়ে বলছেন খুব দ্রæত তোমাদের রাস্তাটি সংস্কার করা হবে। ঠিক একই ভাবে আমাদের বাপ- দাদাদেরও সান্তনা দেওয়া হতো। সেজন্য আমরা আর কোন সান্তনা চাইনা, আমরা চাই কাজ। আপাতত আমরা রাস্তায় ধান রোপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছি। এতেও যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তা সংস্কার না করে তাহলে পরবর্তীতে আমাদের নিজেদের ভবির্ষ্যতের কথা ভেবে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাদ্ধ হবো।

এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পাটিচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ছবেদুল ইসলাম রনি বলেন, রাস্তায় ধান রোপন করার বিষয়টি আমি অবগত আছি। গত অর্থবছরের রাস্তাটির জন্য টেন্ডারও হয়েছিল কিন্তু ঠিকাদার কেন করেনি তা আমার জানা নেই।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন