লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রিত আলিম/সমমান পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশ পত্র /কেন্দ্র ফি হিসেবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে বিভিন্ন মাদ্রাসা কতৃপক্ষ এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।
কেন্দ্র প্রধান ও হাজির হাট হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ মাওলানা মো.দেলোয়ার হোসাইন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে অন্য ভুক্তভোগী মাদ্রাসা প্রধান।
ভুক্তভোগী মাদ্রাসা প্রধান দাবি করেন, ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিতে হচ্ছে। গরীব এলাকাতে তারা অতিরিক্ত ফি দিতে পারছে না। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানকেও কিছু ফি ভুর্তকি দিতে হবে। কারণ কেন্দ্র প্রধানের দাবি খরচ বেশি হচ্ছে। টাকা না হলে কিভাবে পরীক্ষা ও কেন্দ্র চালাবেন..। তাই নিরুপায় হয়ে দিতে হচ্ছে। ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার এবং মাদ্রাসা ৫শত টাকা মোট( ১ হাজার ৫শত টাকা) কেন্দ্র ফি জমা দিতে হচ্ছে।
কেন্দ্র প্রধান নানাবিধ খরচ দেখিয়ে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছেন। পরীক্ষার হচ্ছে কেন্দ্র প্রধানের প্রতিষ্ঠানে, যার কারণে অনেক সময় তিনি যা বলেন তা না দিলে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না।
এত টাকা খরচ কিভাবে হয় জানতে চাইলে কেন্দ্র প্রধান ধমক দিয়ে বলেন কেন্দ্র আপনারা চালান, তিনি পারবেন না। কেন্দ্র প্রধান খরচের খাত প্রশাসনিক সহ অন্যান্যভাবে অতিরিক্ত দেখান।
তিনি আরও বলেন, কিছু পূর্বে (ইনহাউজ ট্রেনিং) নামে উপজেলার প্রতিটি মাদ্রাসা থেকে ৩ হাজার টাকা করে নেয়া হল। টাকাগুলো কেন্দ্র প্রধানকে দেয়া হয়। পরে সেই টাকা কোন সুনির্দিষ্ট খরচের খাত তিনি দেখাতে পারেনি। তার সাথে এসব নিয়ে নানা কথা হয়। তিনি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক বিষয়গুলো অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে করে থাকেন। তার ব্যাপারে বললে অনেক কথা বলতে হয়।
উপজেলায় ৪টি আলিম মাদ্রাসা থেকে মোট ১শত ৬৯ জন ছাত্র/ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে। পনের শত টাকা করে ফি নিলে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা হয়। এতে কেন্দ্র গার্ড জনপ্রতি ১শত আশি টাকা দিচ্ছে তাহলে অন্য আনুষঙ্গিক খরচ কি এবং কত হতে পারে..? তাহলে কেন্দ্র প্রধান অতিরিক্ত টাকা কেন নিচ্ছেন..?। এমন প্রশ্ন তুলে ধরেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক।
অন্য ভুক্তভোগী সহ প্রধান বলেন, তাদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি ১হাজার ৫ শত টাকা চাইলেও তারা ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে এডমিট দিতে ১ হাজার টাকা ধার্য্য করেন।
কেন্দ্র প্রধান ও হাজির হাট হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা মো.দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আলিম/সমমান পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি’র জন্য কোন টাকা নেয়া হয়নি। কোন প্রতিষ্ঠান এখনো তাকে কেন্দ্র ফি জমা দেয়নি। শুধু বোর্ড কতৃর্ক কেন্দ্র ফি নিচ্ছেন তিনি।( ইনহাউজ ট্রেনিং) নামে কোন টাকা উপজেলার কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া হয়নি। সেটা শিক্ষা অফিস নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, কেন্দ্র ফি অতিরিক্ত নেয়ার বিষয়টির সত্যতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্র ফি অতিরিক্ত নেয়ার কোন সুযোগ নেই।
আনন্দবাজার/শহক