ঢাকা | বুধবার
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীনগরে দেড়যুগেও হয়নি সড়কের কার্পেটিং

শ্রীনগরে দেড়যুগেও হয়নি সড়কের কার্পেটিং

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খোদাইবাড়ি-দত্তগাঁও ইটসলিং সড়কটি দেড়যুগেও সম্ভব হয়নি কার্পেটিং। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। প্রায় দেড় কিলোমিটার এলজিইডির সড়কটির বেহাল দশায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

ওয়ার্ডটির খোদাইবাড়ি, রানা, সিন্দুরদী, দত্তগাঁও, মুসলিমপাড়া ও জুরাসার গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। অত্র এলাকাবাসী একমাত্র প্রধান সড়ক এটি। নাজুক সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্থানীয়দের যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। দেখার যেন কেউই নেই!

তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, এজিইডির এই সড়কটির কাজের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি স্থানীয়দের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুকুটিয়া ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি খেলার মাঠ থেকে দত্তগাঁও হয়ে একই ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার সাবেক মেম্বারের বাড়ির মোড় পর্যন্ত সড়কটির বেহাল চিত্র। খোদাইবাড়ি থেকে দত্তগাঁও বারেক শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের ইট অনেকাংশে উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে।

এছাড়া দত্তগাঁও ও মুসলিমপাড়া পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার কাঁচারাস্তা। এই দুই গ্রামের সীমানাবর্তী কাজিপাড়া-খোদাবাড়ি নামক খালের ওপর রয়েছে একটি জরার্জীণ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। প্রায় ২ যুগ আগে রাস্তার অস্তিত্ব না থাকলেও তৎকালীন সময় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সকড়কের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেতুর দুই পাশে মাটি না থাকার ফলে উঁচু সেতুটি পারাপার হতে পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীরা জানিয়েছে, প্রায় দেড়যুগ আগে খোদাইবাড়ি-দত্তগাঁও রাস্তা নির্মাণের পর ইট বিছানো হয়। এরপর সড়কটি আর পাকা হয়ে উঠেনি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সড়কটি পিচ ঢালাইয়ের জন্য চেষ্টা তদবির করছেন। করা হচ্ছে। পুরো সড়ক খানাখন্দের কারণে প্রতিনিয়ত ৬ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি মৌসুমে ভাঙ্গাচূরা সড়কটি আরো ভংকর হয়ে উঠে। মাঝে মধ্যেই অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল আরোহীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

এ সময় স্থানীয় কৃষক সাইফুল, লিটন মিয়া, মো. বাদল জানান, রাস্তার অভাবে কৃষি পণ্য বাজারজাত করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এতে অতিরিক্ত লেবার খরচ করেও উৎপাদিত ফসলের কাঙ্খিত বাজার মূল্য পাচ্ছেন না।

কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল হোসেন বাবু জানান, সংস্কারের অভাবে সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক ভাবে মানুষ চলাফেরা করতে পারছেন না। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় এমপি ও সংশ্লিষ্টজনদের সাথে আলোচনা চলমান আছে। এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলাম জানান, সড়কটির কাজের অনুমোদন হয়েছে। এখন টেন্ডরের প্রক্রিয়াধীন আছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন