ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ মাস পানির নিচে স্কুলের মাঠ

৩ মাস পানির নিচে স্কুলের মাঠ

ফেনী সদরের কালিদহ ইউনিয়নস্থ ভালুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ।এ নিয়ে টানা ৩ মাস জলাবদ্ধতার ফলে শিক্ষার্থীদের হাটাচলা, খেলাধুলা প্রায় বন্ধ। তবে বিষয় টি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলকে জানানোর পর বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটে আশ্বস্ত করেছেন।পানি নিষ্কাশনের অভাবে মমতাজুল হক চৌধুরী বাড়ি এবং চত্ত্বর বেপারী বাড়ির ৮ টি খোলা পায়খানা তলিয়ে গেছে। এতে মলমূত্র সমূহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা প্রকাশ করছে অনেকে।

পানি নিষ্কাশন বন্ধের কারন হিসেবে জানা যায়, গত এপ্রিলে বিদ্যালয়ের পাশের ব্যাপারী বাড়ির হাফেজ আহাম্মদের জায়গায় ঘর নির্মাণের জন্য ভরাট করা হয়। এতে বিদ্যালয় মাঠসহ আশপাশের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। মাঠে তিন/চার ফুট পানি থাকায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর খেলাধুলা বন্ধ ।

সরজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠে পানিতে জাল দিয়ে মাছ ধরছেন আবুল কাশেম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। অন্য প্রান্তে সজীব নামের এক কিশোর মাঠের পাশে ত্রিভুজী জাল বসিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করছে। আশপাশের টয়লেটের ময়লায় দূষণ হওয়ায় এলাকার সচেতন লোকজন পানিতে নামছে না। নিজেদের সন্তানদেরও নামতে দিচ্ছেন না।

বাড়ির বসতঘর ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চত্তর ব্যাপারী বাড়ির প্রবেশপথ।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানায়, “বিদ্যালয় ছুটির পর প্রতিদিন আমরা এ মাঠে খেলাধুলা করতাম। এখন আর কেউ মাঠে খেলতে আসে না। বিকালে রাস্তার পাশে বসে সবাই সেলফোনে গেম খেলে। স্থানীয় কালীদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মীর হোসেন মজুমদার মিরু বলেন, ‘আমি মাঠে গিয়ে স্থানীয়দের পানি নিষ্কাশনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে তৎপর না হওয়ায় এখন পর্যন্ত পানি মাঠে রয়ে গেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা আক্তার বলেন, “বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি তাত্ক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি মাঠ ভরাটের জন্য মাটির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমি অবহিত হয়েছি। শিগগিরই ভালুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠটি মাটি দিয়ে ভরাট করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন