পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে দেশীয় পদ্ধতিতে লাউ আবাদ করেন কৃষক মো. হান্নান মিয়া। বাড়ি সংলগ্ন প্রায় ১৫ শতক জায়গায় প্রায় অর্ধশতাধিক লাউ গাছের চারা তিনি লাগিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই গাছ গুলোতে ফলন আসতে শুরু করেছে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিনি প্রতিনিয়ত লাউ গাছের পরিচর্যা করছেন তিনি। বুক ভরা আশা নিয়ে বসে আছেন আর মাত্র ৭-৮ দিনের মধ্যে লাউ বিক্রি করবেন ।
এরইমধ্যে তার সব কিছু তছনছ হয়ে যায়। রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা তার সব ফলন্ত লাউ গাছ কেটে দিয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের কুসুমবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক হান্নান ওই গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ওই কৃষকের প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। কৃষক হান্নান মিয়া বলেন, পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পুরন করতে বাড়ি সংলগ্ন ১৫ শতক জায়গার মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক লাউ গাছের চারা লাগানন তিনি। এতে তার খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকার উপর। প্রতিদিনই নেওয়া হচ্ছে ওইসব গাছের বাড়তি যত্ন। ইতিমধ্যে তার ওইসব লাউ গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। গাছের মধ্যে ছোট বড় মিলে ৫শতাধিকের উপর লাউ এসেছে। গত শুক্রবার রাতের আধারে কে বা কাহারা তার ফলন্ত সব লাউ গাছ নিচ থেকে কেটে দিয়েছে।
গত শনিবার সকালে লোকজনের কাছে খবর শুনে বাগানে গিয়ে দেখেন তার সব লাউ নিচ থেকে গাছ নিচ থেকে কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। গাছের ফলন লতা পাতা সবই ঝুলছে। তবে গাছের বেশী ভাগ লাউ রয়েছে অপরিপক্ক। যা এখন কোন কাজে আসবে না। তিনি আরো বলেন শখ করে অনেক কষ্টে এই গাছ লাগিয়েছিলাম। রাতের আধারে দুবৃর্ত্তরা গাছগুলো কেটে ফেলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। যারা গাছের সাথে এ কাজ করেছে তিনি আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছেন।
ধাতুরপহেলা গ্রামের বাসিন্দা মো: বাবলু মিয়া বলেন, হান্নান মিয়া একজন কৃষক। অনেক কষ্টে খুবই সুন্দর করে লাউ আবাদ করেছেন। প্রতিটি গাছেই ফলন এসেছে। যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগতো। প্রতিদিন অনেক লোকজন এই গাছ দেখতে আসতো। এভাবে একজন কৃষকের ফলন্ত গাছ কেটে ফেলবে তা কখনো ভাবতে পারছি না।
উপজেলা কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, এ ঘটনায় এখন পযর্ন্ত কেউ আমাদেরকে জানায়নি। তবে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানায়।
আনন্দবাজার/কআ