ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকরাইনে ফানুস ওড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা!

সাকরাইনে ফানুস ওড়ালেই কঠোর ব্যবস্থা!

বর্ণিল আলোকসজ্জা ও নানা আয়োজনে পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব আজ (১৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাকরাইন উৎসবে কোনোভাবেই যেন পুরান ঢাকায় ফানুস না ওড়ে সেই জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

পুরান ঢাকা রাজধানীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অগ্নি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। বিভিন্ন সময় পুরান ঢাকায় লাগা ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সারা দেশ। সাকরাইনকে কেন্দ্র করে ফানুস ওড়ালে বা আতশবাজি ফোটালে পুরান ঢাকায় অগ্নি দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে ফানুস না ওড়ানো ও আতশবাজি না ফোটানোর নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

তবে, ডিএমপির নির্দেশনা অমান্য করে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ফানুস ওড়াবেন বা আতশবাজি ফোটানোর চেষ্টা করবেন। তারা যেন চেষ্টায় সফল হতে না পারে সেই লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।

প্রথমত: ফানুস ওড়ানো বন্ধ করার লক্ষ্যে পুরান ঢাকা ও এর আশপাশে এলাকায় গত কয়েক দিন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপির লালবাগ বিভাগ। এই অভিযানে ফানুস বিক্রি বন্ধ করতে যেমন স্থানীয়দের সচেতন করা হয়েছে, তেমনি জব্দ করা হয়েছে ফানুস ও আতশবাজি। পুরান ঢাকার প্রতিটি মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে যেন সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস না ওড়ানো হয়।

একইসঙ্গে আতশবাজি না ফোটানোর অনুরোধও করা হয়েছে। পুরান ঢাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাকরাইন উপলক্ষে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে। তারপরেও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাকরাইন পুরান ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সাকরাইন উপলক্ষে পুরান ঢাকায় বর্ণিল উৎসবের আয়োজন হবে এটি স্বাভাবিক। তবে সাকরাইনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় যেন কোনোভাবে ফানুস উড়ানো অথবা আতশবাজি ফুটানো না হয় সেই বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কয়েকদিন ধরে পুরান ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে অনেক ফানুস ও আতশবাজি জব্দ করেছেন বলে জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন।

এছাড়া মসজিদগুলো থেকে মাইকিংও করা হয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকেও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আমরা কুইক রেসপন্স করব। উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের টিম স্ট্যান্ডবাই থাকে সবসময়।

উল্লেখ্য, পুলিশের পক্ষ থেকে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে পুরান ঢাকায় আতশবাজি ও ফানুস বিক্রি বন্ধ হয়নি। গত ৩-৪ দিন ধরে বিভিন্নভাবে এসব বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় বেশি দামে পুরান ঢাকায় ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি হয়েছে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন