চলতি শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) পঞ্চগড় জেলায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
অধিদপ্তর বলছে, ২০২১ সালে ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ এর নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এ বছর বুধবার ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। গত বছর এ সময়ে ৮ এর ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। ফলে জেলায় তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে। এসময় গ্রামে হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার খেটে খাওয়া মানুষের। তবে পেটের তাগিদে কাউকে নদীতে পাথর তুলতে, কাউকে চা-বাগানে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে যেতে দেখা গেছে। চা-শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন ও শাহীনুর জানান, প্রচণ্ড শীতের কারছে চা বাগানে কাজ করতে গেলে চা পাতা বরফের মতো লাগে। বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে।
ভ্যান চালক রহিম মিয়া বলেন, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশা কারণে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে উঠেছে। ঠিকমত কাজ মিলছেনা তাই রোজগার কমে গেছে।
শীত বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। ফলে চিকিৎসকদের জন্য রোগীর চাপ সামল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন।
চিকিৎসকরা জানান, শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
আনন্দবাজার/কআ