শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁধ সংস্কারে জনমনে স্বস্তি

বাঁধ সংস্কারে জনমনে স্বস্তি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধে জরুরিভাবে সংস্কার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে স্বস্তি ফিরেছে যমুনা পাড়ের ভাঙন জনপদের মানুষের মাঝে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে ভাঙন রোধে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বরইতলী থেকে ভুতবাড়ি গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার বাঁধ রক্ষায় কাজ শেষ করা হয়। নদীর তীরে স্লোপ করে তার ওপর জিও চট বিছিয়ে সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই কাজ শেষ হয়।

পরবর্তীতে সংস্কার না করায় সিসি ব্লকে বাঁধানো তীর রক্ষা বাঁধ দফায় দফায় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সিসি ব্লকের বিভিন্ন অংশ ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে পুরো বাঁধ এলাকা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে ধসে গেছে তীর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু ব্লক। তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। এ অবস্থায় এবার শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই অব্যাহত ভাঙনে তীর রক্ষা বাঁধের প্রায় শত মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়।

যমুনা তীরের বাসিন্দা আফজাল হোসেন, লিয়াকত আলী, জমিরন বেগমসহ অনেকে বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভাঙার আতংকে থাকতে হয়। কিন্ত এবার বর্ষার আগেই বাঁধ মেরামত কাজ শুরু করেছেন। এতে আশা করা হচ্ছে, এবার বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা নেই।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল বারিক বলেন, নদীর তীর থেকে অবাধে বালু ও মাটি কাটার কারণে অসময়ে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি তীর থেকে মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজদারি প্রয়োজন। প্রশাসন দৃষ্টি না দিলে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার তীর রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  একদিনে মৃত্যু ৩৭, শনাক্ত ২৭৭২ জন

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী জানান, অসময়ে যমুনা  নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ভাংনের কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ রক্ষায় জরুরী ভাবে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করছি এবার সংস্কার করা বাঁধটি টেকসই হবে

সংবাদটি শেয়ার করুন