শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

সরিষার ফলনে খুশি চাষিরা

স্বল্প সময়ের, স্বল্প খরচে অধিক ফলন এবং ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সরিষার ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

কৃষকরা জানান, আমন উৎপাদনের পরে পতিত জমিতে বারতি লাভের আসায় ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করেছে এখানকার কৃষকরা। নদ-নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের পলি মিশ্রিত জমি সরিষা চাষের উপযোগী। সেচ, সার ও অন্যন্য খরচ কম হওয়ায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জমিতে সরিষা রোপণ করা থেকে পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে সবমিলিয়ে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন হয় ৫-৬ মণ। সরিষা উত্তোলন করে বিক্রির টাকা দিয়ে একই জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন চাষিরা।

উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কৃষক নরুল হক, কফিল উদ্দিন  জানান, আমরা এবার আড়াই বিঘা করে সরিষা চাষ করেছি আবাদ ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে সরিষায় ভাল লাভ করতে পারব। পাশাপাশি খাবার তেলের চাহিদাও মিটবে।

সদর ইউনিয়নের  দুলাল মিয়া বলেন আমন ধান কেটে এক বিঘা  জমিতে বারি ৭ সরিষা চাষ করেছি। পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ভালো ফলনের আশা করতেছি। সরিষার তেল দিয়ে পরিবারের চাহিদাও মিটবে।

জহুরুল হক ও সাইফুর রহমান  জানান  এবার  কৃষি অফিস থেকে এক কেজি  সরিষার বীজ সাথে ২০কেজি সার দিয়েছে  সেটা এক বিঘা  জমিতে  বপন করেছি। বর্তমানে ফুলে ভরা ক্ষেত। আবহওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলন হবে।

আরও পড়ুনঃ  কৃষকের গলার কাটা এখন তরমুজ

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ২ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। কৃষি প্রনোদনার আওতায় প্রত্যেককে ১ কেজি করে ২ হাজার ৪৫০ জন কৃষককে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, সরিষা মূলত একটি তেল ও মসলা জাতীয় ফসল। সরিষার তেলের পুষ্টিগুন অনেক বেশী। অধিক ফলন পেতে কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে মাঠে যোগাযোগ রাখছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন