কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক যাত্রী।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালী-লাকসাম রেলপথের দক্ষিণ খিলা তুগুরিয়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: মনোহরগঞ্জের উত্তর হাওলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মাকসুদুর রহমান (৬৫), একই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ হাবিব (২২), একই উপজেলার খিলা ইউনিয়নের ভরণীখণ্ড গ্রামের আবদুল হাইয়ের মেয়ে মইফুল বেগম (৩৫) এবং অটোরিকশাচালক উত্তর হাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০)।
এ ঘটনায় আহত যাত্রীর নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ওই যাত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
লাকসাম রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন জানান, নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লাকসামগামী ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সঙ্গে এই দুর্ঘটনা ঘট। সিএনজি অটোরিকশাটি হঠাৎ রেলপথে উঠে ট্রেনের সামনে চলে আসে। এতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে তিন যাত্রী নিহত হন। পরে লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান চালক। আমরা আরেকজন যাত্রী আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। তবে তাঁর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি।
তিনি আরও জানান, এটি মূলত একটি অবৈধ রেলক্রসিং। দুর্ঘটনাস্থলটি জেলার মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হলেও এটি নাঙ্গলকোট উপজেলার অংশে পড়েছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, নিহতদের মরদেহ তাঁদের স্বজনরা নিয়ে গেছেন। আর দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজি অটোরিকশাটি সরিয়ে নিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/কআ