ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুরুতেই অঘটনের শিকার শিরোপাপ্রত্যাশী আর্জেন্টিনা!

শুরুতেই অঘটনের শিকার শিরোপাপ্রত্যাশী আর্জেন্টিনা!

লিওনেল স্ক্যালোনির ছোঁয়ায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার অবিশ্বাস্য উত্থানে ভক্তকূলে প্রত্যাশা ফিরে এসেছিলো। টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডের পাশাপাশি দূর হয়েছে ট্রফি খরা।

মেসির শেষ বিশ্বকাপে তাই স্মরণীয় কিছু করে দেখানোর স্বপ্ন ছিল আলবিসেলেস্তেদের। কিন্তু সেই দলটার অপরাজেয় যাত্রার লাগাম টেনে ধরে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনের জন্ম দিয়েছে সৌদি আরব। ২-১ গোলে হেরে গেল আর্জেন্টিনা।

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ৪৮ মিনিটে রক্ষণের দুর্বলতায় হজম করা গোলটাই আর্জেন্টিনার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় মূলত। দ্বিতীয় গোল তুলে নেওয়ার পর সৌদির আঁটাসাটো রক্ষণের সামনে মেসিরা আর গোলমুখই খুলতে পারেনি।

সৌদির দুর্দান্ত রক্ষণের পাশাপাশি গোলকিপারকেও অবদান দিতে হবে। ৮৪ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে মেসি হেড করেছিলেন। সেটি জমা পড়েছে আল ওয়াইসের নির্ভরযোগ্য হাতে।

আল ওয়াইস বীরত্বপূর্ণ গোলকিপিং করেছেন। যোগ হওয়া সময়েও ছিল তার বীরত্ব।

যদিও প্রথমার্ধে আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনারই। তাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪৮ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলটার বিপক্ষে দ্বিতীয় মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার। ১২ গজ দূর থেকে মেসি জোরালো শট করেছিলেন। দারুণ রিফ্লেক্সে সেটি সেভ করেন সৌদি গোলকিপার আল ওয়াইস। তবে ১০ মিনিটে কোনও ভুল হয়নি পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপান মেসি। তার পর হাইলাইন ধরে খেলার চেষ্টা করেছে সৌদি। তাতে বিপদটা বাড়ে আর্জেন্টাইনদেরই।

বার বার অফসাইডে বাতিল হয়েছে তিন গোল। চাপ ধরে রেখে মেসি দ্বিতীয় গোল পেয়েছিলেন ২২ মিনিটে। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় বাতিল হয়ে যায় তা।

২৮ মিনিটে মার্তিনেজও জাল কাঁপিয়েছিলেন। এবারও তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় অফসাইড!

৩৪ মিনিটে আবার জাল কাঁপান মার্তিনেজ। পুনরায় অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার প্রথমার্ধে আধিপত্যের ম্যাচে অফসাইড ছিল চোখে পড়ার মতো। ৭টি অফসাইড হয় প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধেই ম্যাচের দৃশ্যপট বদলে যায়। ৪৮ মিনিটে সৌদি আরবকে সমতায় ফেরান সালেহ আল সেহরি। আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের ভুলে গোলপোস্টের নিচে একা দাঁড়ানো মার্তিনেজের করার কিছুই ছিল না।

৫৩ মিনিটে দুর্বল রক্ষণের ফল হাতেনাতে মেলে। সালেম আল দাওসার নৈপুণ্যে স্কোরলাইন ২-১ করে সৌদি আরব মেসিদের পরাজয়ের সব আয়োজনই সম্পন্ন করে ফেলে তখন। সৌদি উইঙ্গার বাঁকানো শটে দূরের জাল কাঁপান।

মেসি-ডি মারিয়ারা এর পর আর ম্যাচে ফেরার মতো অবস্থায় দেখা যায়নি। ৬২ মিনিটে ডি মারিয়ার ভাসানো বল মাথায় ছোঁয়াতে পারেননি মার্তিনেজ। পরের মিনিটেও দুর্দান্ত সেভে আর্জেন্টিনার হতাশা বাড়িয়েছেন সৌদি গোলকিপার।

এর পর আর মেসিরা কুলিয়েই উঠতে পারেনি। তাতে লজ্জার হারের সঙ্গে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হয়েছে ১৯৭৪ সালের পর!

বিশ্বকাপে সর্বশেষ ওই বছরই প্রথম ম্যাচ তারা হেরেছিল পোল্যান্ডের কাছে। ব্যবধান ছিল ৩-২। ১৯৩০ বিশ্বকাপেও শুরুতে ১-০ লিড নিয়ে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠে ছাড়তে হয়েছিল।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন