শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাজালিয়া-নতুনহাট-শীলঘাটা সড়ক------

বেহাল সড়কের সংস্কার জরুরি

বেহাল সড়কের সংস্কার জরুরি

সাতকানিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বাজালিয়া-নতুনহাট-শীলঘাটা সড়ক। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় পুকুরে পরিনত হয়েছে। কিছু জায়গায় সড়কের চিহ্ন মুছে গেছে। যেন কাঁদা পানি ভরা পুকুরের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলছে। নয়াহাট বাজারের পূর্ব থেকে ফকিরখীল দোকানের সামনে ও কুমার পাড়া বাজার এলাকায় ১ কিলোমিটারে সড়কে সবচেয়ে বেশি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

উপজেলার সবচেয়ে সবজি উৎপাদন হয় পুরানগড় ইউনিয়নে। ফলে ব্যহত হচ্ছে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজারজাত করার ক্ষেত্রে। সড়কের বেহাল দশার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে এখানকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজার ধরতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা।

এছাড়া সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনগুলো সৃষ্ট বড় বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই বিকল হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বেহাল দশার এই সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও সংস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার ধোঁপাছড়ি ইউনিয়নের অধিকাংশ বাসিন্দা শঙ্খ নদী পার হয়ে শীলঘাটায় এসে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া শীলঘাটা ও বৈতরণীর সকল মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ বাজালিয়া ও কেরানীহাটে যাতায়াত করে সড়কটি দিয়ে।

দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্থার না করায় কার্পেটিং-খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে সড়ক বিপদজনক হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে বড় বড় গর্তে পানি জমে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাজালিয়া শীলঘাটা পর্যন্ত গড়ে দুই  থেকে তিন শতাধিক সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ মিনি ট্রাক ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায় সময় একাধিক যানবাহন গর্তে পড়ে বিকল হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৩

নতুনহাট বাজারের মিষ্টির দোকানী মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ফকিরখীল দোকানের সামনে ও কুমার পাড়া বাজার পর্যন্ত সড়কের খুব নাজুক অবস্থা। সড়কে পুকুর তৈরি হওয়ায় সিমেন্টের বস্তায় বালু ভরে সড়কে ফেলে যানবাহন চলাচল করছে। এতে মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সড়ক। এ অঞ্চলের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে তাঁকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ হোসেন বলেন, সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন স্থানে পাথর ও পিচ উঠে কিছু জায়গায় ছোট ছোট পুকুর কিছু কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব দ্রুত রাস্তাটির সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়ার।

পুরানগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ.ফ.ম মাহবুবুল হক সিকদার বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ৪ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। এই বছরের শেষ নাগাদ সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশ করা যায়। সড়কটির কাজ সমাপ্ত হলে জনদুর্ভোগ কেটে যাবে। 

সংবাদটি শেয়ার করুন