রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে পণ্য বৈচিত্র্যে জোর দেওয়ার পাশাপাশি নতুন বাজারের সন্ধানে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রে আমি বলব, একটা-দুইটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা না। আরো অধিক পরিমাণে পণ্য যেন আমরা উৎপাদন করতে পারি, রপ্তানি করতে পারি। আবার দেশের বাজারেও বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে যাতে সেই পণ্যটা প্রয়োজন হয় সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি। এখন ডিপ্লোমেসিটা হয়ে গিয়েছে ইকনোমিক ডিপ্লোমেসি।
এখন আর শুধু পলিটিক্যাল দিক দেখলে হবে না। কাজেই ব্যবসা-বাণিজ্য সমপ্রসারণ করা যায় কীভাবে, নতুন নতুন বাজার খুঁজে পাওয়া যায় এবং নতুন নতুন পণ্য আমরা যাতে রপ্তানি করতে পারি সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।
শেখ হাসিনা জানান, আমরা যত বেশি ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন, ব্যবহার এবং রপ্তানি করতে পারব, আমাদের অর্থনীতিতে তা তত বেশি অবদান রাখবে। আমি মনে করি আইসিটি সেক্টরটাই আমাদের সব থেকে বড় একটা সেক্টর হবে ভবিষ্যতে। এই পণ্য রপ্তানি করে আমরা বিশাল অংকের অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হব।
রপ্তানি বাড়াতে ২০২০ সালের জন্য ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য’কে জাতীয়ভাবে ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রপ্তানিনীতি অনুযায়ী পণ্যভিত্তিক রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছর একটি পণ্যকে ‘বর্ষ পণ্য (পোডাক্ট অফ দ্য ইয়ার)’ ঘোষণা করা হয়। রপ্তানি বাড়াতে ২০২০ সালের জন্য ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য’কে জাতীয়ভাবে ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা করছি।
এ খাতের পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোমোবাইল, অটো পার্টস, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিঙ, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সোলার ফটোভলটিক মডিউল ও খেলনা ইত্যাদি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/ইউএসএস