ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনাবাদি সুনামগঞ্জের ৭ হাজার হেক্টর জমি

আবাদি জমিতে সেচের জন্য পানি ধরে রাখতে ২০০০ সালে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে খাসিয়ামারা নদীতে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। এ ড্যামের ওপর দিয়ে অবস্থিত সেতু দিয়ে রাবার ড্যাম-বক্তারপুর সড়কে যাতায়াত করে স্থানীয়রা। এমনকি এই সড়কটি নদীর বাঁধ হিসেবে ব্যবহূত হয়। ২০১৪ সালে পাহাড়ি ঢলে ড্যামের ডান পাশে সড়কটির একটি অংশ ভেঙে যায়। এর ফলে ওই বছর আশপাশের জমির বোরো ফসল ভেসে যায়। শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন দিয়ে পানি বের হয়ে যাওয়ার কারনে পরবর্তী সময়ে ড্যামটি অকেজো হয়ে পড়ে। কিন্তু এতো বড় ক্ষতির সত্ত্বেও পরে আর ভাঙনটি মেরামত করা হয়নি।

আর এর ফলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। পাঁচ বছরেও ভাঙন মেরামত না করায় এবারো এসব জমিতে বোরো আবাদ করা যাচ্ছে না। ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, ভাঙন মেরামতে সরকারি কোনো দপ্তরই উদ্যোগী নয়। কিন্তু সড়ক নির্মাণকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দাবি, ভাঙন মেরামতের জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে তারাতারি কাজ শুরু করা হবে।

সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমদ জানান, খাসিয়ামারা নদীর পানির ধারণক্ষমতা কমে গেছে। প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলে তীর ভেঙে যায়। এই সমস্যা সমাধানে এরই মাঝে ঢাকা থেকে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন। দুটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিন্তু এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সম্মতি দরকার। তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে আমরা এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন