শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দূর্গা পূজা আসন্ন

মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে

মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে

আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিমা তৈরিসহ পূজার অনুষাঙ্গিক বিভিন্ন কাজ নিয়ে পাল পাড়াগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। এসব প্রতিমা মন্ডপে মন্ডপে স্থাপন করাসহ রং ও নানা সাজসজ্জা ও পূজা উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিল্পীদের নিপুন হাতে রং, তুলির আচরে ফুঁটে উঠছে প্রতিমার নজরকারা সৌন্দর্য। এছাড়া পূজা মন্ডপ ও বাড়ির আঙিনা সাজানোর পরিকল্পনায় ব্যস্ত তারা। আসছে ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দূর্গোৎসব। তাই দেবী দুর্গা মা’র প্রতিমা তৈরির কাজে মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েকশত অভিজ্ঞ মৃৎশিল্পী এ অঞ্চলে আসছেন। প্রতি বছরের ন্যায় শারদীয় উৎসবকে সামনে এসব শিল্পিরা বিভিন্ন প্রতিমা তৈরির কাজের বিনিময়ে অর্থ আয় করেন। বছরের এ সময়টা মৃৎশিল্পীদের কদর বাড়ে। গত বছর শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মোট ৭৭টি মন্ডপে শারদীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে চলতি বছর এর ব্যতিক্রম হবে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় পূজা মন্ডপে এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ চলমান আছে। কোনো কোনো প্রতিমার কাজ প্রায় শেষের দিকে। রং ও সাজসজ্জার অপেক্ষায় আছে। শিল্পির নিপুন হাতের তুলির ছোঁয়ায় এসব প্রতিমার পরিপূর্ণতা ফুঁটে উঠবে। শ্রীনগর পোদ্দার পাড়ায় শ্রী শ্রী দুর্গা মন্ডপের সভাপতি চৈতন্য পোদ্দার (৬৬) বলেন, প্রায় ২৬০ বছর ধরে পোদ্দার পাড়ায় শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব হয়ে আসছে। চলতি বছরও উৎসবকে ঘিরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্বপন পাল (৩৫) নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে তিনি এ কাজে শ্রীনগরে আসেন। তিন মাস ধরে সুশিল চন্দ্র পালের অধিনে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা বেতনে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  আত্রাইয়ে ৩৩/১১ কে.ভি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন উদ্বোধন

শ্রীনগর বাজার সংলগ্ন পাল পাড়ার অভিজ্ঞ মৃৎশিল্পী শ্রী সুশিল চন্দ্র পাল (৭২) বলেন, পূর্ব পুরুষদের পেশাগত সূত্র ধরেই নিজেকে এ পেশায় প্রতিষ্ঠিত করেছি। এ বয়সেও প্রতীমা তৈরীর কাজ করছি। চলতি বছর প্রায় ১০-১১টি দূর্গা প্রতিমার অর্ডার নিয়েছেন। অন্য জেলা থেকে অতিরিক্ত ৭ জন মৃৎশিল্পী আনা হয়েছে।

সুশিল চন্দ্র পালের পুত্র শংকর চন্দ্র পাল (৩৫) বলেন, প্রতিমা তৈরির বিভিন্ন কাজকর্মে বাবাকে সহযোগিতা করছি। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে এসব প্রতিমা তৈরি কাজে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঝন্টু পাল (৫০) বলেন, শ্রীনগর কেন্দ্রীয় অনন্তদেব মন্দিরের জন্য প্িরতমা তৈরি করছি। মাটির কাজ প্রায় শেষ। এখন রং ও সাজসজ্জার কাজ বাকি। চলতি বছর মোট ৯টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন