বগুড়ায় সরকারি গুদামে নকল সন্দেহে জব্দ করা টিএসপি সার ভেজাল প্রমানিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতেই র্যাব ওই সব ট্রাকের হেলপার ড্রাইভারসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বগুড়া সদর থানায় টিএসপি কমপ্লেক্সে লিমিটেড এর পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
র্যাব ১২ বগুড়া ক্যাম্পের কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে জানান, বগুড়ার তিনমাথা এলাকায় সরকারি সারের গুদামে আসা ১৭ ট্রাক টিএসপি সারের মধ্যে প্রথম ৭ ট্রাক সার খালাসের সময় স্থানীয় এক ডিলার খালাসকৃত সারের বস্তাগুলোতে নকল টিএসপি সার রয়েছে বলে দাবি করেন। পরে ল্যাব পরীক্ষায় নকল সার হিসেবে প্রমাণিত হলে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে এসব ট্রাকের হেলপার ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করে।
রাজশাহী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সারগুলি ভেজাল হিসেবে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে টিএসপি কমপ্লেক্সে লিমিটেড সার কারখানা থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি এসেছিল। তারা সারগুলো পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। একই সঙ্গে বগুড়া বাফা গুদাম কর্তৃপক্ষ নমুনা নিয়ে গবেষণাগারে পাঠায়। বাফা গুদাম সূত্র জানায়, সারগুলো পরিবহন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন। সোমবার ৭ ট্রাক ও মঙ্গলবার ১০ ট্রাক জব্দ করা হয়। পরে মঙ্গলবার আরও এক ট্রাক টিএসপি আসলে সেটিও জব্দ করা হয়। এসব ট্রাকে করে আসে মোট ২৫২ টন টিএসপি সার। সেগুলো খালাশ না করে পরীক্ষার জন্য গুদাম ক্যাম্পাসে রেখেছে বাফা কর্তৃপক্ষ। বাকি ট্রাকের সারগুলোর পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনও আসেনি।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টিএসপি সারে মোট ফসফেট ওজন ভিত্তিক ৪৬ শতাংশ হবে। আর পানিতে দ্রবনীয় অবস্থায় ৪০ শতাংশ। গবেষণাগারে পাঠানো টিএসপি সার পরীক্ষায় মোট ফসফেটের ওজনভিত্তিক পাওয়া গেছে ২৩ থেকে ৩৩ শতাংশ। আর পানিতে দ্রবনীয় অবস্থায় ফসফেট পাওয়া গেছে ১৮ থেকে ২৭ শতাংশ।