শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জলবায়ুর কবলে কৃষিখাত

জলবায়ুর কবলে কৃষিখাত

জলবায়ুর কবলে কৃষিখাত

প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিক অগ্রগতি খুবই কম। যে কারণে দীর্ঘ সময় সংকট নিয়ে চলতে হবে

অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান, ইআরবি, ঢাবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে। দিন দিন ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তাপদাহসহ শীত আর গ্রীষ্মের তাপমাত্রার পার্থক্য উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে চারপাশের চিরচরিত প্রাকৃতিক আচরণ। যার নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছে বিশেষত কৃষি উৎপাদনে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে শঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্বের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এমন ভয়াবহতার পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে ভাইরাস জনিত মহামারি। আর এই তাণ্ডবের মধ্যেই বিষফোঁড়ার মতো চেপে বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যা আবার বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দাকে উসকে দিচ্ছে।

সাম্প্রতিক আধুনিক বিশ্বে দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রকে। এই তালিকায় রয়েছে আরও বহু রাষ্ট্র। যাদের রিজার্ভ দিন দিন তলানিতে ঠেকছে। কমছে খাদ্য কেনার সক্ষমতা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে একদিকে কৃষিখাতে যেমন উৎপাদন কমছে, তেমনি অন্যদিকে খাদ্যশস্য কেনার সক্ষমতা কমে আসছে। এতে আগামীতে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বিশ্বে। এমন আশঙ্কার কথা ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়করা।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক দেউলিয়া ঘোষিত শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক মন্দা আর খাদ্য সংকটে বেশিরভাগ শিশু ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাচ্ছে। যে কারণে দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ শিশু অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে। একদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন খরা, বন্যা, তাপদাহ, দাবানল, ভূমিকম্প, অন্যদিকে আবার বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল, গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের পরিস্থিতিকে একেবারেই উদ্বেগজনক করে তুলেছে। এমন অবস্থায় শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে একেবারেই দুর্বিষহ করে তুলেছে।

জাতিসংঘের খাদ্যসহায়তা-সংক্রান্ত শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মতে, করোনাভাইরাস মহামারি, সংঘর্ষ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০১৯ সালের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে সাড়ে ৩৪ কোটি ছাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সংকট দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি সকলকে একত্রিত হয়ে বিকল্প অর্থনীতি নিয়ে ভাবতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে বিশ্বে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ১৩ কোটি। মহামারির সময়ে এ সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তন ও রাজনৈতিক সংঘাতের ফলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগত সমস্যার প্রভাবে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা খাদ্যঘাটতিকে উসকে দিচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ু–সংকটের ফলে আরও সংঘাত ও ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির ঘটনাও ঘটছে।

আরও পড়ুনঃ  দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়  কাঁপছে তেঁতুলিয়া

ডব্লিউএফপির তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের জরুরি খাদ্যসহায়তা দরকার। অথচ ডব্লিউএফপির সক্ষমতা অনুযায়ী সেখানে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বাকি ৩০ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌছে দেয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি থেকে যে ধরনের সহায়তা দেয়া হয়, তাতে খাদ্য নিরাপত্তাহীন একজন মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার অর্ধেক পূরণ করা সম্ভব।

খাদ্যশসের চাহিদা যখন দিন দিন তীব্র হচ্ছে তখন আবার কৃষিখাতে একের পর এক বিপর্যয় নেমে আসছে। সম্প্রতি পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং থাইল্যান্ডের মতো বহু দেশে ভয়াবহ বন্যা কৃষিখাতকে নাজুক করে তুলছে। পাকিস্তানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয়েছে। বলা হচ্ছে, দেশটির এক তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে পানিতে। গত জুনের মাঝামাঝি থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটিতে ভূমিধস আর বন্যা দেখা দেয়। সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে পাঁচলাখ ঘরবাড়ি। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ে। তিন হাজার ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগীসহ ১৩০টি সেতু ভেসে গেছে। বন্যার এই তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে খাদ্য উৎপাদনে। এখনি জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হচ্ছে।

অন্যদিকে, আফগানিস্তানে প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা রাজনৈতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে নতুন বিপদ ডেকে এনেছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই এমন প্রবলমাত্রার বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশটিকে। সেখানেও গত এক মাসে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা দুশ ছাড়িয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার মানুষ। আফগানিস্তান সম্প্রতি একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চরম আবহাওয়ার শিকার হচ্ছে। এর ওপর আবার চলতি বছরের জুনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। তাছাড়া সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসেও সেখানে বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। এসব দুর্গত অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দরকার খাদ্যসহায়তা।

এদিকে, মৌসুমি ঝড়ের কবলে থাইল্যান্ডের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দেখা দেয় প্রবলমাত্রার বন্যা। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ৩০টি জেলায় ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে ৩৫টির বেশি বাঁধ। বাঁধ ভেঙে এলাকাগুলোতে কমপক্ষে ২ হাজার মিলিয়ন কিউবক মিটার পানি প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পানি সম্পদ বিভাগ। এতে তলিয়ে গেছে কমপক্ষে হাজার দুয়েক ঘরবাড়ি। আর অবধারিত ভাবেই এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে কৃষি উৎপাদনে। একদিনে কৃষি উৎপাদন কমছে, বিপরীত দিকে খাদ্যের চাহিদা আর হাহাকার বাড়ছে।

আরও পড়ুনঃ  সেপটিক ট্যাংক থেকে ‘৪ কেজি টুকরো মাংস’ উদ্ধার

বিশ্বের সব দেশেই এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে। অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরার পাশাপাশি দাবদাহ জনিত দাবানলের ঘটনা বিশ্বে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সে কারণে দাবানলের ভয়াবহতা বাড়ছে। সম্প্রতি গ্রীষ্মের দাবদাহে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপজুড়ে সৃষ্টি হয় মারাত্মক দাবানল। হাজার হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে যায়। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রাণহানি ঘটে। সম্প্রতি ইউরোপের দুই-তৃতীয়াংশ খরা সতর্কতার অধীনে থাকছে।

তথ্যমতে, গত ৫০০ বছরের মধ্যে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি ইউরোপে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, গোটা ইউরোপ জুড়ে ১৭ শতাংশ এলাকাতে গাছপালা মরে বা শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্যদিকে, খরার কারণে বহু নদীর পানি শুকিয়ে গিয়ে প্রাচীন কালের অনেক প্রত্নতত্ব ভেসে উঠছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অঞ্চলে আরও কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ইউরোপের শস্যগুলোর মধ্যে গড়ে ভুট্টার ১৬ শতাংশ, সয়াবিনের জন্য ১৫ শতাংশ এবং সূর্যমুখীর ১২ শতাংশ ফলন কমে গেছে। পাশাপাশি জলবিদ্যুৎ শক্তি উল্লেখযোগ্য ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, উত্তর সার্বিয়া, ইউক্রেন, মলদোভা, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

শুধু তৃতীয় বিশ্ব কিংবা পশ্চিমারাই নেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে, এমনকি চীনের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশও ধুঁকছে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকটে। দেশটির অর্ধেক অঞ্চলজুড়ে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। এমনকি হিমশীতল এলাকা হিসেবে পরিচিত তিব্বতীয় মালভূমিতেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ায় একাধিক প্রদেশে শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। অপর দিকে, অনেক শহরে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ–সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে বেশ কিছু কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেশার বলেছেন, বিশ্বের এই চাপ বহনের সামর্থ্য নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের ফলে আমরা বিশ্বজুড়ে ১০ গুণের বেশি বাস্তুচ্যুতি দেখছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের মধ্যে আন্তসম্পর্ক রয়েছে। ফ্লেশার বলেন, ইউক্রেন–সংকটের ব্যাপক প্রভাব মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় পড়তে দেখা গেছে। ইয়েমেন প্রয়োজনীয় খাদ্যের ৯০ শতাংশ আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আমদানি হয় কৃষ্ণসাগর দিয়ে।

আরও পড়ুনঃ  মরুকরণের বিপদে বরেন্দ্রভূমি

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে কৃষিখাতে। একদিকে উৎপাদন কমে যাচ্ছে উদ্বেগজনকহারে অন্যদিকে, খাদ্যের চাহিদা বেড়েই চলছে প্রতিনিয়ত। যে কারণে প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান দেয়া দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামীতে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বিশ্বজুড়ে।

এবিষয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের দুজন শিক্ষকের সঙ্গে। তারা জানান, সংকটময় এ পরিস্থিতি কিছুদিন হলেও স্থায়ী হবে। বিশ্বকে আরও সংকটময় অবস্থা মোকাবিলা করতে হবে। আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রবিউল আউয়াল বলেন, গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যে কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিন দিন বাড়ছে। আমরা যদি কার্বন নিঃসরণ থেকে শুরু করে অন্য গ্রিন হাউজ গ্যাসের ব্যাবহার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে দুর্যোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। দুর্যোগের ফ্রিকোয়েন্সি যদি বেড়ে যায় তাহলে সব খাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

ঢাবির আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তওহিদা রশিদ বলেন, আজকের এই অবস্থা সৃষ্টির পেছনে অনেক বছরের কারণ আছে। বর্তমান অবস্থা আরও তীব্র হবে। যার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এ বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কিছু পলিসি তৈরি করতে হবে। তিনি পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আসার পরামর্শ দেন।

অধ্যাপক ড. তওহিদা রশিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। মানুষজনকে সচেতন করতে আরও বেশি প্রচার- প্রচারণা দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কৃষিখাতে কী পরিবর্তন আনতে পারি অথবা দুর্যোগের ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। হঠাৎ করে আসা বন্যা বা অন্য কোনো বিপর্যয় মনিটরিং করে দীর্ঘস্থায়ী পূর্বাভাসের ব্যবস্থা করলে কৃষকরা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থনৈতিকভাবে কম ক্ষতি হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর পরিচালক অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বৈশ্বিক অগ্রগতি খুবই কম। যে কারণে একটা দীর্ঘ সময় এ সংকট নিয়ে চলতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নেতিবাচক প্রভাবগুলো কীভাবে কমানো যায় এবং পরিবর্তনের সঙ্গে কীভাবে খাপ খাইয়ে চলা যায় তার জন্য যে কৌশল দরকার তা অবলম্বন করতে হবে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন