বিশ্বব্যাপী গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, এটি যতবেশি গতিশীল হবে অর্থনৈতিক অবস্থা তত বেশি স্থিতিশীল হবে। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম সবুজ অর্থায়নের পুর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করে।
আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো অবস্থা এখনো আমাদের তৈরি হয়নি। উন্নত দেশগুলোতে রান্নাবান্নার কাজ করা হয় গ্যাসে। কিন্তু আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ এখনো গাছ কেটে রান্নার কাজ করে। চাইলেই সেখানে গ্যাস পৌঁছানো সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করছি অর্থয়ন বাড়ানোর। আমরা চাইলেই কি এখন কাগুজে টাকা থেকে বের হয়ে আসতো পারবো না। গ্রামের একটা মানুষ কি ক্রেডিট কার্ড বুঝে না। বিশ্ব যেখানে বলছে পেপার লেস (কাগজহীন টাকা) আমরা সেখানে বলছি লেস পেপার (কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনা)। প্রকৃতিকে কীভাবে সুস্থ রাখতে যা যা করার দরকার আমরা তা তা করার চেষ্টা করছি।
মুখপাত্র আরও বলেন, আমরা চাইলেই ব্যাংকগুলোকে সবুজায়নের আওতায় নিয়ে আসতে পারছি না। চাইলেই একটা ব্যাংককে সোলার সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা যায় না। এ জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। ব্যাংকগুলো চাইলেও তা করতে পারে না। সবুজ অর্থায়নের আওতায় আসলে দীর্ঘমেয়াদী সুফল আছে কিন্তু শুরুতে যে ব্যয় বহন করতে হয় সেটা অনেক ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব না।
সবুজ অর্থায়নে দেশে ব্যবসা করা বিদেশি ব্যাংকগুলো এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক্ষেত্রে ইস্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া শীর্ষে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় অবস্থানেও বিদেশি ব্যাংক সিটি ব্যাংক এনএ। দেশীয় ব্যাংকগুলো কেন বিদেশি ব্যাংকের চেয়ে পিছিয়ে, জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, দেশীয় ব্যাংকের অর্থায়নের খাত বিদেশি ব্যাংকের চেয়ে বেশি। বিদেশি এই ব্যাংকগুলো দেশের কৃষি ক্ষেত্রে কোনো অবদান রাখছে না। তারা কৃষি ঋণ দিচ্ছে না। কিন্তু দেশি ব্যাংকগুলো কৃষি ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঋণ দিচ্ছে। যে কারণে বিদেশি ব্যাংকগুলো তুলনামূলকভাবে দেশি ব্যাংকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
আনন্দবাজার/শহক