মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে একটি বেহাল রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুল পারাপারে এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে। ওই এলাকার মাজেদ খানের বাড়ির সামনে জরাজীর্ণ কাঠের পুলটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মানুষ পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অপরদিকে একই রাস্তায় মহিলা ইউপি সদস্য পারভীন সুলতানার বাড়ির সামনে আরো একটি বেহাল কাঠের পুলের সন্ধান মিলেছে। এতে হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পুলগুলো ভেঙে পরে দুর্ঘটনার শঙ্কা করেছেন পথচারী।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাড়াগাঁও গ্রামের মাজেদ খানের বাড়ির সামনে রাস্তায় ভাভাচূরা কাঠের পুলে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছেন। ওভারলোডিংয়ে পুলের জরাজীর্ণ অবকাঠামো যে কোন সময় ভেঙে পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। লক্ষ্য করা গেছে, ঝুঁকি নিয়েই শিশু, বৃদ্ধ ঝুঁকি নিয়ে পুল পারাপার হচ্ছেন। অপরদিকে একই রাস্তার সামান্য পূর্ব দিকে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্যর বাড়ির সামনে ভাঙাচূরা অপর একটি কাঠের পুল দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়দের এ পুল ব্যবহার করে বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ বছরে কাঁচা রাস্তা ও পুল সংস্কারের তেমন কোন কাজ হয়নি। পায়ে হেঁটে কোন রকমে পুল পারাপার হলেও এ রাস্তায় মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিক্সা চলাচল করা প্রায়ই অসম্ভব। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া আসায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। বেহাল রাস্তা ও কাঠের পুল সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
ওই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক যুবলীগ নেতা মো. আবুল হোসেন বলেন, আমার জানামতে গত ৪/৫ বছর আগে পুলগুলো সংস্কার করা হয়েছিল। রাস্তার অবস্থাও খুবই নাজুক। গ্রামের অধিকাংশ মানুষকে বেহাল রাস্তা ও কাঠের পুল ব্যবহার করে পাড়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন শ্রীনগর-তন্তর পাকা সড়কসহ বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মিঠু’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পারভীন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে কাঠের পুল দু’টি সংস্কার করা হলেও এখন ভেঙেচূরে গেছে। এখানে রাস্তা নিচু হওয়ায় ফলে বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে মানুষের হাটা চলাফেরায় ভোগান্তি বাড়ে। বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাবের সাথে আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে তন্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর বলেন, পুল দু’টি একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাসহ পুল সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।