ফরিদপুরে বেশ কয়েকদিন ধরে মরিচের বাজার চড়া। সকালে দাম বাড়ে তো বিকেলে দাম কমে । এভাবে বিক্রি হতো মরিচ। অথচ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা কেজিতে। আর সাধারণ ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর লোকজন মরিচ কিনতে এলে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য হচ্ছে, মরিচ যে সমস্ত এলাকায় উৎপন্ন হয় সেখানে হঠাৎ করে পানি উঠে যাবার কারণে গাছগুলি মরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ফরিদপুর জেলার কেষ্টপুর সদরপুর মধুখালী এলাকায় এখনো ঠিকমত মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে সমস্যা হচ্ছে। এভাবে দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
জেলা শহরের হাজী শরীতুল্লাহ বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা রহিম খাঁন বলেন, প্রতিদিন বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কাঁচামরিচের বাজারে আগুন লেগেছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি এমনটা হলে আমরা গরিব মানুষ কীভাবে চলব?
হোটেল মালিক মিলন শেখ জানান, প্রতিদিন হোটেলে বিভিন্ন রান্না করতে কাঁচামরিচের প্রয়োজন হয়। তবে যেভাবে কাঁচামরিচ এবং শুকনা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে হোটেল ব্যবসা করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। যেখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ কেজি কাঁচামরিচের ক্রয় করতাম এখন অল্প করে কিনতে হচ্ছে। দোকানিরা বলেন, দেশের উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সবুজ রঙের মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সেখানে উৎপন্ন হয় কালো রংয়ের মরিচ। যে কারণে সবুজ মরিচের প্রচণ্ড চাহিদা থাকার কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। অবস্থা এভাবে চললে আগামী কয়েক দিন পর ৩০০ টাকা দরে কেজি দরে কিনে মরিচ খেতে হবে।