চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকরি ২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বর্তমানে তেল ও গ্যাস নির্ভর ৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। চালু ১৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র শিকলবাহা বারাকা (১০৫ মেগাওয়াটের) ছাড়া আর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রই পুরোদমে উৎপাদনে নেই। এর মধ্যে নামমাত্র উৎপাদনে কোনো রকমে চালু আছে ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
চট্টগ্রামে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট ছাড়া অবশিষ্ট সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রই গ্যাস ও তেলে চালিত। কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল কমে যাওয়ায় এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এখানে ২টি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। অথচ তেল ও গ্যাস সংকটের এই সময়ে জল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু থাকলে ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। কিন্তু এখন ৩ ইউনিটে মিলে মাত্র ১২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাউজান ৪২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, রাউজান তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট চালু আছে। এটি থেকে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে। ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ আছে। শিকলবাহা ২২৫ এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র দুটিও বন্ধ রয়েছে গ্যাসের কারণে। পিডিবির রাউজান ২টি ইউনিট এবং শিকলবাহা ২২৫ এবং ১৫০ মেগাওয়াটসহ এই ৪টি কেন্দ্র গ্যাসে চলে। এখন গ্যাস সংকটের কারণে তিনটি বন্ধ। রাউজানে এখন ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাচ্ছি। এগুলো দিয়ে ১ নম্বর ইউনিট চালু আছে। এ ছাড়া কাপ্তাইয়ের ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৩টি চালু আছে, ২টি বন্ধ। দোহাজারী, হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু আছে। তবে তেল সরবরাহ কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে।
এ দিকে পিডিবির শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী কমরুদ্দিন আহমদে জানান, এখন তেল এবং গ্যাস সংকটের কারণে পিডিবির শিকলবাহা ২২৫ এবং ১৫০ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্রই বন্ধ। তবে প্রাইভেট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো মোটামুটি চালু আছে। তাদের সাথে যেভাবে চুক্তি আছে-সেইভাবে তারা কিছু কিছু চালু রেখেছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাপ্তাই ১ নম্বর এবং ৪ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফের ২০ মেগাওয়াটের সোলার বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এবং কাপ্তাইয়ের সাড়ে ৭ মেগাওয়াটের সোলার বিদ্যুৎ প্ল্যান্টও বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামে চালু ১৬টি সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২১৮ মেগাওয়াট।
আনন্দবাজার/শহক