বেসরকারি খাতে যাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার। জ্বালানি বিভাগ এই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে। ওই নীতিমালা অনুযায়ী, আগ্রহী কোন উদ্যোক্তা গ্যাস-বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার আমদানি করতে পারবেন। এমনকি কেউ চাইলে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশে প্রি-পেইড মিটার তৈরির জন্য কারখানাও বসাতে পারবেন।
ইতোমধ্যে বেসরকারি কোনও একক কোম্পানি এগিয়ে না এলেও প্রি-পেইড মিটার তৈরির জন্য দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কারখানা স্থাপন করেছে। তবে কারখানা দুটি করা হয়েছে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার তৈরির জন্য। এর একটি তৈরি করেছে ওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। আর অন্যটি তৈরি করেছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল)। তবে এখনও গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার তৈরির কারখানা নির্মাণে এগিয়ে আসেনি কেউ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আগে বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার তৈরিকে ছেড়ে দিয়েছি। এখন গ্যাসেরটিও বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাসের ক্ষেত্রে দুই চুলার একজন গ্রাহক মাসে এখন ৯৭৫ টাকা বিল পরিশোধ করেন। এর বিপরীতে প্রি-পেইড মিটার যারা ব্যবহার করছেন, তাদের বিল আসছে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা। ফলে প্রতি গ্রাহক প্রতিমাসে ৪৭৫ টাকা প্রি-পেইড মিটারে সাশ্রয় করতে পারছেন।’