ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খোলাবাজারে ‘লাগামহীন’

খোলাবাজারে ‘লাগামহীন’
  • ডলারের দাম ছাড়িয়ে গেল ১০৩ টাকা 

ব্যাংকের চেয়ে ডলারের বেশি সংকট এখন খোলাবাজারে। প্রবাসীদের দেশে আসা যেমন করেছে তেমনি বিদেশি পর্যটকরাও তেমন আসছেন না। যার প্রভাব পড়েছে ডলারের বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে গেল সপ্তাহের শুরুতে খোলাবাজারে ১০০ টাকা ঘরে থাকা ডলার এখন বেড়ে ১০৩ টাকা হয়েছে। অথচ তারও আগে সপ্তাহের শেষে ডলারের দাম ছিল ৯৮ টাকার ঘরে।

গত ২০ জুলাই সেই ডলার ১০২ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠে যায়। অর্থাৎ মাত্র চারদিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে যায় প্রায় পাঁচ টাকা। মূলত বাজারে ডলারের সংকট থাকার কারণেই প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে।

গতকাল রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে খোলাবাজারে ডলারের দাম আরেক দফা বেড়ে ১০৩ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। ঢাকার মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলার ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৪ টাকার মধ্যেও কেনাবেচা হয়েছে।

মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, ঈদের আগে ও পরে ১০০ থেকে ১০২ টাকার মধ্যে ডলার কেনাবেচা হয়েছে। অথচ গতকাল তা ১০৩ টাকা ছাড়িয়ে যায়। অবশ্য, খোলাবাজারে হঠাৎ করে ডলার চড়া হয়ে যাওয়ার কারণ বলতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, সাধারণত কেউ বড় অঙ্কের ডলার সংগ্রহ করলে সংকট হয়, এ জন্য দাম বেড়ে যায়।

এদিকে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলেও ডলারের দাম বেড়ে গেছে। কারণ, রপ্তানি বাড়লেও প্রবাসী আয় কমেছে। ঈদের আগে ও পরে বাজারে ডলারের সরবরাহ ও চাহিদা ভালো ছিল। কারণ, এ সময় অনেকেই বিদেশ থেকে ঈদ করতে দেশে এসেছিলেন। ফলে সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। আবার অনেকে ঈদের ছুটিতে বিদেশে গেছেন। ফলে ডলারের চাহিদা ছিল।

খোলাবাজার ও মানি চেঞ্জারগুলো সাধারণত বিদেশফেরত ও সংগ্রহে থাকা ডলার ক্রয় করে। ব্যাংকের রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের সঙ্গে এই বাজারের সম্পর্ক নেই। খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা বাড়লে মুদ্রা বিনিময়ের প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ব্যাংক থেকে ডলার কিনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করত। কিন্তু এখন ব্যাংকেও ডলারের সংকট। তাতে অনেক ব্যাংক এখন উল্টো খোলাবাজারে ডলার খুঁজছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন