ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিত দেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়তে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় বাংলাদেশ বিপাকে পড়েছে। গ্যাস আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় ধাক্কা লেগেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে, ফিরেছে লোড শেডিং। এতে ভোগান্তি বাড়ছে।

আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় নসরুল হামিদ বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি প্রায় ৬-৭ মাস যাবৎ তেলের মূল্য ঊর্ধ্বগতি। যে তেল আমরা ৭০-৭১ ডলারে কিনতাম, সেই তেল এখন ১৭১ ডলার হয়ে গেছে।

‘এবং সেটা সবসময় বাড়তির দিকেই যাচ্ছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে, আমরা তেলের মূল্য সমন্বয়ে যাব। আমরা নিজস্ব অর্থে ই ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তারপরেও মনে হয় যে একটা সময়ে আমাদের এই প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হবে।’-যোগ করেন তিনি।

গ্যাসের দাম ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে জুন মাসের শুরুতে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছিল সরকার।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, সারাবিশ্বে এই তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিভিন্নভাবে তারা (বিভিন্ন দেশের সরকার) বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। তেলের মূল্য তারা সমন্বয় করেছেন।

‘আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কিছু করবেন না- যেটা সাধারণ জনগণের ওপর বোঝা হয়ে থাকে। যার কারণে গ্যাসের সামান্য মূল্যবৃদ্ধি করেছি, এখনও তেলের উপরে করি নাই।’- যোগ করেন তিনি।

সম্প্রতি লোড শেডিং বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের গ্যাস দিয়ে ৬৪ শতাংশ বিদ্যুৎ চলে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস দিন দিন বাড়াচ্ছি, আবার দিন দিন কমছেও। যেটা বাড়াচ্ছি, যে খনিগুলো থেকে পাচ্ছি, সেটা স্বল্প পরিমাণে পাচ্ছি। কমছে, কিন্তু অনেক দ্রুতগতিতে।

তিনি আরও বলেন, যে ঘাটতি ছিল, সেটা আমরা ইমপোর্ট করে নিয়ে আসতাম। একটা লং টার্ম ধারা। সে প্রাইসটা ফিক্সড। সেটা তেলের সাথে ওঠানামা করে। আরেকটা স্পট মার্কেট। সারা বিশ্বে স্পট মার্কেটের ডিমান্ডটা বেড়ে গেছে প্রচণ্ডভাবে।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দামে উল্লম্ফন দেখা দেওয়ায় অর্থ জোগান দিতে সরকারকে ‘প্রচণ্ডভাবে’ বেগ পেতে হচ্ছে জানিয়ে নসরুল জানান, ইউক্রেইনের যুদ্ধের কারনে তেল এবং গ্যাসের দাম প্রচণ্ডভাবে প্রভাব ফেলছে। ৪ ডলারের গ্যাস ৩০ ডলার হয়েছে গেছে। সেটা আমাদের কিনতে গিয়ে কিন্তু হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি সকলেই এ বিষয়টা বুঝতে পারবেন এবং ধৈর্য ধরবেন; এটা খুবই সাময়িক। এটা খুব দীর্ঘকালের জন্য না। আমাদের প্রচুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, কিন্তু গ্যাসের কারণে সেগুলোর উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছি।

সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার এবং শেখ হাসিনার সরকারের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা মিতব্যয়ী হব।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন