শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূলে লবণসহনশীল ধানবীজ বিতরণ

উপকূলে লবণসহনশীল ধানবীজ বিতরণ

উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় লিডার্স প্রধান কার্যালয়ে আমন মৌসুমে মুন্সিগঞ্জ, গাবুরা, ঈশ্বরীপুর ও কাশিমাড়ী ইউনিয়নে ৭৮৬জন কৃষকের মাঝে ৭৪৯৫ কেজি লবণ ও খরা সহনশীল ধানবীজ বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল এর সভাপতিত্বে উক্ত ধান বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বীজ বিতরণ এর শুভ উদ্বোধন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম এনামূল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা, আরও উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন, লিডার্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ ইকবাল ফারুক প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লিডার্স এর মনিটরিং অফিসার রনজীৎ কুমার মন্ডল।

প্রধান অতিথি বলেন, আমরা যদি নিজেরা বাড়িতে বীজ সংরক্ষণ করি তাহলে বীজের সংকট কমবে। ভালো মানের বীজ পাওয়া অনেক দূর্লভ। আমরা সকলেই লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষ করলে কৃষি ক্ষেত্রে আরো সমৃদ্ধ হবে। লিডার্স এমন কৃষকদের খুঁজে বের করবে। লিডার্স এর এ ধরণের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হোক। সরকারের কৃষি বিভাগের পাশাপাশি লিডার্স এর মত বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠনগুলোর মাধ্যমে কৃষকদের কৃষিতে সম্পৃক্তকরণ আরও বাড়বে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হিসাবে উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ততা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারনে সেচের পানির স্বল্পতা রয়েছে। এমন বহুবিধ সংকটের মধ্যে কৃষিকে টেকসই করার লক্ষ্যে লিডার্স লবণ ও খরা সহনশীল ধানবীজে ভর্তুকি প্রদান করে কৃষকদের লবণ ও খরা সহনশীল ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এসব ধান বীজের মধ্যে রয়েছে বিআর-২৩, ব্রিধান-৫২, ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৭৩, ব্রিধান-৭৮ ও ব্রিধান-৮৭। উল্লেখ্য যে, লিডার্স আমন মৌসুমে শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রা উপজেলায় মোট ১০৫৫ জন কৃষককে ৯৭৫০ কেজি লবণ ও খরা সহনশীল ধান বীজ বিতরণ করবে।

আরও পড়ুনঃ  পঞ্চগড়ে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু

সংবাদটি শেয়ার করুন