শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেল অবরোধে যাত্রীদের দুর্ভোগ

রেল অবরোধে যাত্রীদের দুর্ভোগ
  • টিএলআর শ্রমিক পদ বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

লালমনিরহাটে টিএলআর শ্রমিক পদ বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও রেল অবরোধ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর কর্মচারিগণ। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় লালননিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে টিএলআর শ্রমিকদের শুরু হওয়া এ আন্দোলনে শত শত শ্রমিক অংশগ্রহণ করে। 

জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে টিএলআর কর্মচারিগণ দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের বিভিন্ন পদে চাকুরি করে আসছেন। তবে হঠাৎ করেই গত ৩০ জুন থেকে টিএলআর বন্ধ করে দিয়ে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দেয়ায় কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার সকাল থেকে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের কয়েক হাজার কর্মী আন্দোলনে যুক্ত হয়। এতে ঢাকাগমী লালমনি এক্সপ্রেসসহ লালমনিরহাট-রংপুর-পার্বতীপুর, লালমনিরহাট শান্তাহারগামী ট্রেনগুলোও বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে লালমনিরহাট রেলওয়ের অনিয়মিত শ্রমিক (টিএলআর) এর আন্দোলনের কারনে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকাগামী কয়েকশো যাত্রী।

পরে বেলা ১১টার দিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ চাকুরি স্থায়ী করনের বিষয়ে রেলওয়ের উর্দ্ধতন  কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন মর্মে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নিয়ে রেলওয়ে ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

লালমনিরহাট রেলওয়ে অনিয়মিত শ্রমিক (টিএলআর) এর সভাপতি মো. জুয়েল বলেন, আমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চাকরি করছি গেট কিপার হিসেবে। তবে, হঠাৎ করেই গত ৩০ জুন থেকে টিএলআর এর পদগুলো বন্ধ করে দিয়ে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ দেয়ায় আমরা তিন দিন ধরে বেকার হয়ে পড়ি। সারাদেশে প্রায় ২০ হতে ২৫ হাজার কর্মী চাকরি করে আসছি। এতে আমাদের কর্মসংস্থান বন্ধ করে দিয়ে আউট সোর্সিংয়ে লোক নিয়োগ দিলে আমরা কিভাবে বাঁচব আমাদের পরিবার নিয়ে? আমরা আউট সোর্সিং চাই না। আমরা যেভারে চাকরি করে আসছি সেভাবেই করব।

আরও পড়ুনঃ  শাহজালাল বিমানবন্দরের সেবায় খুশি যাত্রীরা

আর রেলওয়ের নিয়ম আছে তিন বছরের অধিক সময় চাকরি করলে তার চাকরি স্থায়ী করা হবে।তবে, কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ বছর চাকরি করলেও কোনো স্থায়ী  হয়নি। আবার আমাদেরকে রেল থেকে বের করে দিচ্ছে।

রেলওয়ে ডিভিশনের ডিটিএসের থাকা আব্দুল্লাহ আল মামুন শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, আপনাদের চাকরি না থাকলে রেলওয়ের অনেক ক্ষতি হবে। লালমনি এক্সপ্রেসসহ প্রতিদিন যে ট্রেনগুলো চলে সেগুলোসহ কয়েকটি স্টেশনও বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে রেলের উপর মহলের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।

এদিকে লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, আন্দোলনে অংশ নেয়া শ্রমিকরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে। তবে যেহেতু এটি সরকারি সিদ্ধান্ত সেজন্য আলোচনা করা দরকার। আমরা তাদের চাকরি স্থায়ী করনের বিষয়ে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।

সংবাদটি শেয়ার করুন