পুরো ভারতজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ইস্যুতে চলছে বিক্ষোভ। কলকাতায় নতুন এ আইনের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাবেশে মমতা সিএএ ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছেন।
তার মতে, এ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা না রেখে নিরপেক্ষ সংস্থার পর্যবেক্ষণে সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে গণভোটের আয়োজন করা প্রয়োজন। খবর এনডিটিভি।
কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের জমায়েত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি তোলেন, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ আপনাদের যদি সাহস থাকে, তবে গণভোটে আসুন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? তার আগেই একটা ভোট হয়ে যাক। দেখতে চাই কয়জন মানুষ আপনাদের সঙ্গে থাকেন। যদি গণভোটে হেরে যান, তা হলে ইস্তফা দিতে বাধ্য হবেন আপনারা।
তিনি প্রস্তাব করেন, কমিটি হবে নিরপেক্ষ সংস্থাদের নিয়ে। তারাই গণভোট আয়োজন করবে। সেখানে তৃণমূল, বিজেপি কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের থাকার দরকার নেই। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কারো থাকার দরকার নেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। ১২ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরে আইনে পরিণত হওয়া বিলটি শুরু থেকেই মুসলিমবিরোধী আখ্যা পেয়েছে। বিতর্কিত এ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ভারতজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ। বিক্ষোভ ছড়িয়েছে আসাম, কলকাতা থেকে শুরু করে দিল্লি, তামিলনাড়ু অবধি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস