পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দেউলী পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের বিচার ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষককে সম্মানহানির অভিযোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
গতকাল সোমবার সকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন দেউলী বাধঘাট এলাকায় মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে স্কুল প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে উপস্থিত ছিলেন- রুবেল সিকদার , মোঃ আমজেদ খান, শামীম, মুক্তা খান, আদনান হোসেন শাওন, আরাফাত, ইমু, ইমরানসহ অর্ধশতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, গত রবিবার বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান (বিএসসি) স্যার ক্লাসে যেতে দেরি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এছাড়াও এর আগে তার বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। আমরা তার কঠোর বিচার ও তাকে দ্রুত বিদ্যালয় থেকে অপসারণের দাবি জানাই।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, দ্বিতীয় ঘন্টায় ৯ম শ্রেণিতে আমার নির্ধারিত ক্লাশ। রুটিন পরিবর্তন করে তা প্রথম ঘন্টায় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমাকে তা জানানো হয়নি। তাই আমি প্রথম ঘন্টায় লাইব্রেরীতে বসে ছিলাম। এতে প্রধান শিক্ষক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আমি তাকে পরবর্তীতে দুঃখিত বলছি এবং বসে মিলেমিশে গেছি।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, সবাইকে নিয়ে ঘটনাটি মিলমিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল কবির জানান, এরকম একটা ঘটনা শুনেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। সরেজমিনে তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
