শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বর্ষায় মেঘের মিছিল

দিনের ঢাকায় রাতের অন্ধকার

দিনের ঢাকায় রাতের অন্ধকার

আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকেই বর্ষার মেঘের মিছিল আকাশজুড়ে। খণ্ড খণ্ড মেঘের মিছিল কখনও জমায়েত হয়ে নেমে আসে বৃষ্টির অঝোর ধারা হয়ে। গত তিনদিন ধরেই আকাশের মুখটা ঢেকে দিয়েছে মেঘের দল। কখনও মেঘের ফাঁকে উঁকি দেয়া সূর্যের মুখ, কখনও আবার ঘন অন্ধকারে নিখোজ হয়ে যাওয়া। এভাবেই চলছে যেন প্রকৃতির বর্ষাবরণ।

তবে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনের বিকেলের দৃশ্য ছিল একেবারেই অন্যরকম। তখন বিকেল সাড়ে তিনটার কাছাকাছি। হঠাৎ ঘনকালো মেঘে ঢেকে যায় গোটা আকাশ। চারদিকে নেমে আসে অন্ধকার। যেন রাত নেমেছে ঢাকায়, এমন দৃশ্যের দেখা মেলে চারদিকে। রাস্তার ব্যস্ত গাড়িগুলোর সামনের আলো জ্বলে ওঠে। চারপাশের দোকানপাটেও একে একে আলো জ্বেলে ওঠে।

এমন দৃশ্য দেখে অনেকটা ভয়ে ঘিরে ধরে চালক আর পথচারীদের। ঠিক এমন একটা দৃশ্যের মধ্য দিয়েই অফিসে ছুটছিলেন জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই মেঘেরা জমা হয় আকাশে। কালবৈশাখীর আগে যেমনটা হয়, তেমনি চারদিকে ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায়। যেন দিন নয়, রাত। রাস্তায় চলন্ত গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে দেয়। সিগন্যালের বাতিগুলোও জ্বলে ওঠে।

এমন দৃশ্য দেখে খানিকটা ভীত হয়ে পড়েন সিএনজি অটোরিকশা চালক তালেব। থাকেন যাত্রাবাড়িতে। তিনি অনেকটা ভয়ের সুরেই বলেন, যেমমন মেঘ করেছে, যদি বৃষ্টি ঝরে তাহলে পৃথিবী তলিয়ে যাবে। ভয় হচ্ছে ঘরের কথা ভেবে। আমার বাড়ি তো টিনের। প্রবল বর্ষণ হলে তো ঘরের টিন ফুরে পানি পড়বে। 

পথিমধ্যে বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন খিলগাঁওয়ের রিকশা চালকা মেহের আলী। বললেন, দিন তো হারিয়ে গেল। মনে হচ্ছে রাত। মেঘের এমন অন্ধকার আগে কখনও দেখিনি। দ্রুত ছুটছিলেন গন্তব্যে। যে বর্ষণ থেকে রক্ষা পান।

আরও পড়ুনঃ  ব্লক মার্কেটে ২৮৫ কোটি টাকার লেনদেন

তবে এত শঙ্কা ভয় কেটে যায় আধা ঘণ্টার মধ্যেই। বিকেল চারটার দিকে চারদিকে আলো ফুটে ওঠে কোনো বৃষ্টি ছাড়াই। কোনো বর্ষণ নেই, বৃষ্টি নেই, ধীরে ধীরে কেটে যায় ঘনকালো মেঘ। এমন ঘটনা অনেককেই কৌতুহলী করে তুলেছেন। একজন ব্যবসায়ী বললেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই প্রকৃতি বদলে গেছে। প্রকৃতির চরিত্রও গেছে পাল্টে। কখন কোন রূপ ধারণ করে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন