ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্দা সময় পার করছে ফিলিপাইনের চিনি শিল্প

বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির চাহিদা। কিন্তু বিপরীতে কমে আসছে চিনির উৎপাদন। এমনকি বিরূপ আবহাওয়ার সাথে বেড়ে চলছে আখ চাষীদের সংকট। আমদানি বৃদ্ধির কারনে বাড়ছে দেশীয় চিনির দামও। সব মিলিয়ে ফিলিপাইনের চিনি শিল্প পার করছে খারাপ সময়। বৈশ্বিক বাজারবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিচ সলিউশন ম্যাক্রো রিসার্চের সাম্প্রতিক প্রাক্কলন প্রতিবেদনে জানিয়েছে এসব তথ্য ।

ফিচ সলিউশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ উৎপাদন মৌসুমে ফিলিপাইনে ২১ লাখ টন চিনি উৎপাদন হতে পারে। যেখানে এর আগের প্রাক্কলনে উৎপাদন ২২ লাখ টন হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। সেই হিসাবে উৎপাদন কমতে পারে ৪ শতাংশ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, ফিলিপাইনে শ্রমিক সংকট বেড়েই চলছে। তাই আখ আবাদ ধীরে ধীরে কমছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দেশটির বিরূপ আবহাওয়ায় এবার আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে চিনির উৎপাদন কমিয়ে দেবে। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে দেশীয় চিনির চেয়ে কম দামে আমদানীকৃত চিনির সরবরাহ বাড়ায় এ খাত দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়তে পারে।

একই কারণে চলতি মৌসুমে ফিলিপাইনের অপরিশোধিত চিনির উৎপাদনও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় দেশটির অপরিশোধিত চিনির উৎপাদন গত মৌসুমের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে ২০ লাখ ৯৬ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে।

কিন্তু উৎপাদন এবং আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় দেশীয় বাজারে চিনির দাম বেশি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি অব্যাহত রাখবে ফিলিপাইন। উৎপাদিত চিনির ৫ শতাংশ বা ১ লাখ ৪০ হাজার টন চিনি প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি করে দেশটি।

অন্যদিকে ফিচ সলিউশন মনে করছে, আগামী বছরও আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় ফিলিপাইনের চিনির দাম বেশি থাকবে। এ সময় প্রতি পাউন্ড চিনির দাম ১৩ ডলার ৫ সেন্ট থাকবে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন