- ডজনে ২০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি
ক্রমাগত অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সাধারণ মানুষের কপালে। হুট করেই বেড়ে গেছে বাজারে ডিমের দাম। বাজারে তেল, মসলা, সবজি, মাছ, মাংস কোনকিছুতেই মিলছে না স্বস্তির আভাস। তার ওপর এবার চড়াও হতে শুরু করেছে ডিমের বাজার। নিত্যপণ্যের বাড়তি দরে নাকাল জনজীবন। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দেশি মুরগির ডিমের দাম। ডজনপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সরবরাহ কম না থাকলেও ডিমের বাড়তি দরে হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। অপরদিকে মুরগির খাদ্য, পরিবহন খরচ ও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজার ও কাজীর দেউড়ি কাচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১১০ টাকায় বিক্রি হওয়া লাল ডিম বর্তমানে ডজন প্রতি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিমের ডজন ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। পাশাপাশি দেশি মুরগির ডিমে ২০ টাকা বেড়ে ডজনপ্রতি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রিয়াজউদ্দীন বাজারের ডিম বিক্রেতা হাফিজ উদ্দীন বলেন, ডিমের উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাইড়া গেছে। তার ওপর মুরগির খাবারের বস্তায় ৪শ টাকার উপরে বাড়ছে। ডিম আনতে গিয়া অহন কয়েক হাজার টাকা বাড়তি গোনা লাগে। ঘরভাড়া, লেবার খরচ বাড়তাছে। তাই ডিমের বাজার দর বাইড়া গেছে।
বাজারে আগের বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। ঝিঙ্গা আর চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০, ঢেড়শ ৪০ থেকে ৫০, কাকরোল ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৮০, বেগুন ৭০ থেকে ৮০, চাল কুমড়া পিস ৫০, লাউ পিস ৬০, কাঁচা পেঁপে ৫০ ও কাঁচাকলার হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও খুব একটা স্বস্তি ফেরেনি। বাজারে প্রতিকেজি রুই ৩শ, এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৩শ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া-পাঙাস ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে ৩শ থেকে ৪শ টাকা, শোল মাছ আকারভেদে ৪শ থেকে ৬শ, কৈ মাছ ২শ, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে প্রতিকেজি চায়না রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি রসুন ৮০, খোলা চিনি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দশ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০, আটার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খোলা আটা কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩শ টাকা ও লেয়ার মুরগির ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭শ টাকা ও খাসির মাংস ৯শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে
নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারে ক্রেতা এমদাদ হোসেন বলেন, সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। কোন কিছুই আমাদের হাতের নাগালের মধ্যে নেই। একটা জিনিসের দাম দু টাকা কমলে দশটা জিনিসের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ে। আমাদের আয় বাড়ে নাই। ঘরভাড়া বছর বছর বাড়তেছে। গ্যাস সিলিন্ডারের দামও বাড়তি। বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ বন্ধ নেই। আমরা খুব কষ্টে আর চাপে সময় পার করছি।