খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন ধান ও চাল মজুতদারির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরালো হবে।বৃহস্পতিবার (২ জুন) ‘বোরো-২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই, তবে একটি মহল খাদ্য ঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান এ অভিযান আরও জোরালো হবে।’
এসময় খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন দুই কারণে সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করে, ‘প্রথমত সরকার ধান কিনলে কৃষক তার ফসলের সঠিক মূল্য পায় আর দ্বিতীয়ত জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
ধান-চাল সংগ্রহের সময় কারও সাথে দুর্ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চালের মানের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।’
এসময় মন্ত্রী, বড় বড় করপোরেট হাউজের নিজস্ব মিল না থাকলে তারা যাতে ধান-চালের ব্যবসায় যুক্ত হতে না পারে তা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কেউ যেন অবৈধ মজুত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে একই সাথে কেউ যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করতে পারে সে দিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে’’
অবৈধ মজুতদারদ ঠেকাতে প্রয়োজনে ‘স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চাল ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে। সে দেশগুলো চাল ও গম রপ্তানি করবে বলে পত্রও দিচ্ছে। বাজার অস্থির করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে।
আনন্দবাজার/শহক