পাট মৌসুমে কাঁচা পাট ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কারখানাগুলো চাহিদা অনুযায়ী কাঁচা পাট ক্রয় করতে পারছে না। ফলে কারখানাগুলোতে কাঁচা পাটের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় খুলনা বিভাগের ৯টি পাটকল কারখানাগুলোর উৎপাদন ৬৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) খুলনা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজোঁ কর্মকর্তা বনিজ উদ্দিন মিঞা জানান, কারখানাগুলো যথাযথভাবে পাট কিনতে না পারায় উৎপাদনে যেতে পারছে না। কাঁচা পাট সংকটে বর্তমানে কারখানাগুলোয় উৎপাদন এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকদের অনশনের কারণে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলে গত চারদিনে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কাঁচা পাট সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আর্থিক সংকটের পরিমাণও বাড়ছে পাটকলগুলোয়। জানা যা্য়, খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে দায়-দেনার পরিমাণ ১ হাজার ১৯৬ কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
স্টার জুট মিলের প্রকল্প প্রধান রইজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, মিলের শ্রমিকদের ১০ সপ্তাহ আর কর্মচারীদের দুই মাসের বকেয়া মজুরি ও বেতন পরিশোধ করা হয়েছে; যা ৪ ডিসেম্বর শ্রমিকদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। শ্রমিকরা ওই টাকা উত্তোলনও করছেন। তবে কর্মকর্তাদের পাওনা টাকা মজুদকৃত পাটপণ্য বিক্রি করে পরিশোধ করা হবে। প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট ক্রয় করার নির্দেশনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে গত ১৭ নভেম্বর ছয়দিনের কর্মসূচির ডাক দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদ।
আনন্দবাজার/ইউএসএস