শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্যবিভাগে জনবল নিয়োগে অনিয়ম তদন্ত শুরু

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্যবিভাগে জনবল নিয়োগে অনিয়ম তদন্ত শুরু

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের গোল্ডেন সার্ভিসের মাধমে জেলার ৪টি হাসপাতালে ৯টি পদের বিপরীতে ১৮৪ জন ভুয়া জনবল নিয়োগে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে সরেজমিনে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। গত বুধবার চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ ও অন্য দুইজন হলেন যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক ও খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমএম জাহাতাব হোসেন। সদর হাসপাতালের মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তকর্মী এবং অফিসের প্রশাসনিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তকর্মীদের একটি ফর্ম দিয়েছে তদন্ত কমিটি। সেখানে নিয়োগ, কাজে যোগদান, টাকা লেনদেন ও জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হোসেন, তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমানসহ সিভিল সার্জন অফিসের অন্য কর্মকর্তারা এবং দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেল ৪টায় তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ গণমাধ্যম কর্মিদের জানান, বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলেছি এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পরে তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা.এএসএম মারুফ হাসান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন গোল্ডেন সার্ভিস লি. নামের আস্থা প্রকল্পের অধিনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তিনি জড়িত নন। এদিকে গোল্ডেন সার্ভিস প্রকল্পের আস্থা প্রকল্পের নিয়োগ পাওয়ারা জানান, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের শাস্তি দাবি জানান। 

আরও পড়ুনঃ  'সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকের ভূমিকা অগ্রগণ্য'

সংবাদটি শেয়ার করুন