পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম জানিয়েছেন, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই হাওরে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টির পানিতে হাওরে প্লাবিত হয়ে ফসলের ২ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
আজ শুক্রবার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া-জাজিরার পদ্মার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
এনামুল হক শামীম জানান, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওরের মানুষ। দেশে ২ লাখ ২২ হাজার ৮শ ৫ হেক্টর হাওর রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর হাওরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জিসহ কয়েকটি এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেখানে ১২০৯ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়। ঐ বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে হাওর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ২ শতাংশ।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, হাওড়ে ফসলের ৯০ শতাংশ কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। বাকিটা অতি দ্রুতই শেষ হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও কৃষিবিভাগ সবাই একসাথে কাজ করেছে। তথা সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওর অঞ্চল।
একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত হাওরের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। আমি, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত ঐ এলাকা পরিদর্শন করেছি। তিনদিন সেখানে থেকে কাজও করেছি। সেখানকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর হাওরের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। হাওরবাসী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এ মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’- যোগ করেন তিনি।
আনন্দবাজার/টি এস পি