শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে অতিরিক্ত ১৬ ফ্লাইট দাবি

ঈদে অতিরিক্ত ১৬ ফ্লাইট দাবি

যাত্রীচাপে হিমশিম—

বাংলাদেশ নিজেদের গুটিয়ে নিলেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে প্রতিদিন ১৬টি করে অতিরিক্ত ফ্লাইট চায় বেসরকারি এয়ারলাইনস। ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত তিনদিন চারটি রুটে আটটি করে অতিরিক্ত ফ্লাইটের দাবি জানিয়েছে দুই বেসরকারি এয়ারলাইনস। বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায়।

এ বছর ঈদ হতে পারে ৩ মে। সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি দেখানো আছে ২, ৩ ও ৪ মে। এ ছুটি শুরুর আগে দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধ। এ কারণে ঈদের ছুটি শুরু হবে ২৯ এপ্রিল। এ ছাড়া ১ মে শ্রমিক দিবসের বন্ধ থাকায় সেই ছুটিও এর সঙ্গে যোগ হতে যাচ্ছে। ফলে ঈদের ছুটিতে দূরে কোথাও যেতে চাওয়া লোকজন উপভোগের জন্য ছয়টি দিন পাবেন।

এই ছুটির পরে ৫ মে বৃহস্পতিবার। আর ৬ ও ৭ মে সাপ্তাহিক বন্ধ। কেউ বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে নিলে আরও তিন দিন অতিরিক্ত ছুটি কাটানোর সুযোগ পাবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি ঈদের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন ৯ দিন। লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও এ বছর বাড়তি চাপ পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতি বছরই সড়ক, রেল ও নৌপথের পাশাপাশি চাপ থাকে আকাশপথেও। করোনার কারণে গত দুই বছর যারা ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে যাননি, তারাও এ বছর এ সুযোগটি নিতে মুখিয়ে রয়েছেন।

বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো বলছে, ঈদকে সামনে রেখে ২৮ মে থেকে ১ মে পর্যন্ত টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাড়তি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবার ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে এই চারদিন দৈনিক ১৬টি করে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে দুই বেসরকারি এয়ারলাইনস নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা।

আরও পড়ুনঃ  এত ভয়ঙ্কর রূপে তিস্তাকে আগে দেখেনি কেউ

স্বাভাবিক সময়ে নভোএয়ার ঢাকা থেকে প্রতিদিন যশোরে ছয়টি, রাজশাহীতে তিনটি, সৈয়দপুরে ছয়টি এবং বরিশালে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।

আর প্রতিদিন বরিশালে দুটি, রাজশাহীতে দুটি, যশোরে সাতটি এবং সৈয়দপুরে ছয়টি ফ্লাইট রয়েছে আরেক বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলার। এই রুটগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য দুটি এয়ারলাইনস ব্যবহার করে এটিআর সেভেনটি টু মডেলের উড়োজাহাজ। এই উড়োজাহাজের আসন সংখ্যা ৭২টি।

ঈদের আগে আকাশপথে যাত্রী চাপের বিষয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত এক্সট্রা প্রেসার আছে। এটা মূলত সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী আর বরিশালে। সিলেটে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা প্রেসার বেশি। আর কক্সবাজারে প্রেসারটা ঈদের পরে।

‘বাড়তি ফ্লাইট নিয়ে আমাদের কিছু প্ল্যান আছে, কিন্তু এটা নির্ভর করছে সিভিল এভিয়েশনের উপর। আমরাও শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের ডিমান্ডটা দেখতে চাই। এটা দেখে আমরা এক্সট্রা ফ্লাইটের যদি সুযোগ থাকে তাহলে আমাদের প্রস্তুতি আছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন