শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝড়-বৃষ্টির বাগড়া

ঝড়-বৃষ্টির বাগড়া
  • ছুটির দিনে থমকালো কেনাকাটা

ছুটির দিনের সকালটা শুরু হয় খানিকটা বেশি আর্দ্রতা দিয়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে তাপমাত্রাও। ঠিক দুপুর আড়াইটার দিকে আকাশ মেঘলা হতে থাকে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয় বাতাস। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বাতাসের গতি। এরপরেই মুষলধারে বৃষ্টি। গতকাল শুক্রবার বছরের দ্বিতীয়বারের মতো কালবৈশাখীর সাক্ষাৎ পেল রাজধানীবাসী। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে বছরের প্রথম কালবৈশাখীর দেখা পান ঢাকাবাসী।

গতকালের ছুটির দিনে কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে বিপণিবিতানগুলোতে ভরপুর কেনাকাটা খানিকটা থমকে যায়। মার্কেটগুলোতে আসা অনেকেই রাস্তায় কাকভেজা হয়ে যান। মুষলধারার বৃষ্টিতে অনেক এলাকা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়।

তারপরও বৃষ্টিতে জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। অনেক রিকশাচালক ইচ্ছে করেই ভিজেছেন। তীব্র গরমের পর বৃষ্টিতে ভিজেছেন অনেকেই। গুলিস্থান মোড়ের এক রিকশাচালক বললেন, গরমের মধ্যে ভিজলে সমস্যা নাই। শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টির মধ্যে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। যাত্রীও পেয়েছি। সেই সঙ্গে ভাড়াটা বেশিই পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর ব্যস্ততম এলিফেন্ট রোডের দোকানগুলোতে যখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়, তখন হঠাৎ করেই বৃষ্টির বাগড়া নাজেহাল করেছে। অনেকেই ভিজে গেছেন। কেউ কেউ ইফতারের জন্য দ্রুত বাসায় ফিরতে চেয়েও পারেননি। পাশেই গাউছিয়া আর নিউমার্কেটে আতঙ্ক কেটে গিয়ে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে ক্রেতাদের।

তবে বৃষ্টির কারণে ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতারও বিপাকে পড়েন। যারা কেনাকাটার জন্য বিকেলে সময় রেখেছিলেন তারা আর বের হননি। মুষলধারার বৃষ্টির মধ্যেও অবশ্য মার্কেটগুলোর সামনে রিকশার ভিড় দেখা গেছে। তবে অনেক এলাকায় বৃষ্টি চলাকালে প্রচণ্ড ভিড় লেগে যায়। এতে বিপাকে পড়েন চালক আর সাধারণ যাত্রীরা।

আরও পড়ুনঃ  কমবে পোশাকসহ রফতানি পণ্যের উৎসে কর

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় কালবৈশাখী বইয়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন