তাসফিয়া হত্যাকাণ্ড
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিশু তাসপিয়া আক্তার জান্নাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় তার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. সবজেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে রিমনসহ ৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়। তাদের মধ্যে সোহেল উদ্দিন, সুজন, নাইমুল ইসলাম এবং আকবর হোসেনের ৭দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে দুপুরে প্রত্যেকে ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া প্রধান আসামি রিমন স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিকেল রিমনকে বিচারকের খাস কামরায় ডাকা হয়। সেখানে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বিচারকের খাস কামরা থেকে বের করা হয় এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, রিমন নিজে তাসফিয়া ও তার বাবাকে গুলি করার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেছেন। তবে কোন অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুঁড়েছেন সে বিষয়টি রিমন নিশ্চিত করেনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির পাশের মালেকার বাপের দোকান এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তাসপিয়া ও তার বাবা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করলে ঢাকায় নেয়ার পথে রাতে মারা যান তাসপিয়া। এ ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) নিহতের খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অস্ত্রধারী রিমন, বাদশাসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ১০-১২জনকে আসামী করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।