বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশাখী সাজে জবি ক্যাম্পাস

  • জ্বালো জ্ঞানের মশাল, ভাঙো আঁধার

পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত সেই জগা বাবুর পাঠশালা নামে খ্যাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেন এক নতুন রূপরেখা সৃষ্টিতে মেতেছে এবারের বৈশাখ আয়োজনে। করোনায় দীর্ঘদিন সরাসরি পাঠদানসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক চর্চা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে করা হয়নি। দুবছর পর বৈশাখকে কেন্দ্র করে তাই বিশ্ববিদ্যালয় ও চারুকলার বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্ব উদ্যোগে ক্যাম্পাস যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সর্বাত্মক চেষ্টায় ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে দেয়ালে রঙিন সব চিত্রপট অঙ্কন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে চৈত্র সংক্রান্তিসহ, নববর্ষ পালিত হচ্ছে। উদীচী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে ‘জ্বালো জ্ঞানের মশাল, ভাঙো আঁধার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চৈত্র সংক্রান্তি উদযাপিত হয়। বৈশাখের জন্যও রয়েছে একাধিক চমক। ব্যানার নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। পুরাতন বছরের তিমির রাত্রির রেশ কাটিয়ে অন্তিম প্রহরে জাগ্রত হয় উদীয়মান নতুনদিনের সম্ভাবনাময় প্রহর।

চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান বজরুল রশিদ খান বলেন, স্ট্রাকচার, মৌমাছি, মুখোশ, দেয়াল পেইন্টিং সবকিছুর কাজ শেষে বর্ষবরণের জন্য প্রস্তুত আমরা। চারুকলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন বলেন, ‘আমরা প্রথম বছর কাজ করতেছি। নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা তৈরি হচ্ছে। বড় ভাই-আপু, বন্ধুরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করছি খুবই ভালো লাগছে।

চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম মৃধা বলেন, ‘প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার জন্য বিভাগের সবাই মিলে কাজ করছি। এই কাজের মাধ্যমে অনেক ব্যতিক্রমি কাজ শিখতে পারছি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার ফলে ক্যাম্পাসে একটা উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩৮

‘হে নূতন এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি/পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে’ এই বিশ্বাসকে সামনে রেখে বিগত বছরের সব জীর্ণতাকে ধুয়ে মুছে বৈশাখ আয়োজনে মেতে উঠেছেন সবাই। এই ধরা শুচি হোক, শুভ্র বাতায়ন বয়ে উঠুক বাংলার বুকে। হাজার বছরের বাঙালিরা এভাবেই তাদের সংস্কৃতিকে বুকে জাপটে বেঁচে থাকুক অনন্তকাল এমন প্রত্যাশা সব শিক্ষার্থীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন