করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
আজ শুক্রবার বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য এ অর্থের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের এ অর্থের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিকিএবং আর্থিক খাতের নীতি শক্তিশালী হবে। করোনার ফলে অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মসংস্থান ধরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এ অর্থ। বাংলাদেশকে এ অর্থ দেওয়া হচ্ছে ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারকে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে পাশে থাকবে বিশ্ব ব্যাংক। ভবিষ্যতের ধাক্কাগুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং নীতিগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তার অংশ হিসেবে এ অর্থায়ন করছে সংস্থাটি।
বিশ্ব ব্যাংক জানায়, এ অর্থ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়াতে ও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে রাজস্ব এবং আর্থিক খাতের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি দক্ষতা উন্নত করতে ও গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই কর্মসূচি সরকারকে নগদ স্থানান্তর কর্মসূচি আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলা ও নগদ-ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য সরকার-টু-ব্যক্তি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার সম্প্রসারণ করবে। জরুরি সহায়তার জন্য নতুন এবং বিদ্যমান সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু-সম্পর্কিত সংকটগুলোতে আরও দ্রুত সহায়তা দেওয়ার কাজ সহজ করবে।
আনন্দবাজার/টি এস পি