বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে ৫১তম মহান স্বাধীনতা দিবস এবং জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। ২৬ মার্চ সকাল ৮টায় সারাদেশে একযোগে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। এছাড়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শিশু কিশোরদের শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয়। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : মহাসমারোহে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। ২৬ মার্চ সকালে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে চবি স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে চবি বিভিন্ন পর্ষদের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ১০:৩০ টায় চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে চবি স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেলা ১১টায় চবি শহীদ আবদুর রব হল মাঠে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ও আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি. এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি.। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ মাতৃকার জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  দেশের কিছু অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস

খুলনা ব্যুরো : খুলনায় যাথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যদয়ের সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা হয়।   সরাকারি ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। গল্লামারী স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানান খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগ, খুলনা মহানগর বিএনপি, খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটি, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লমা প্রকৌশলী পরিষদ সহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। বর্নাঢ্য সাজে স্মৃতিসৌধে যেয়ে তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। এছাড়া খুলনা জেলা প্রশাসন বীর  মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।

ময়মনসিংহ  অফিস : ময়মনসিংহে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দ্বিতীয় পর্বের শুভ সূচনা হয়। সকাল ৮ টায় স্থানীয় রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক এনামুল হক ও পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন। এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পাটগুদাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিসৌধে প্রথমে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস। পরে একে একে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ ডিআইজি শাহ মোহাম্মদ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৬

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। শনিবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনি মধ্যদিয়ে দিবসের সুচনা হয়। পরে কর্মসূচির মধ্যেছিলো সুর্যোদয়েরর সাথে সাথে সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পন, গণকবর জিয়ারত ও  পুস্তবক অর্পন। বীর মুক্তি যোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের শারীরিক কসরত, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বিশেষ মোনাজাত, হাসপাতাল জেলখানা, শিশু পরিবার, পথশিশু সমুহে উন্নত মানের খাবার পরিবশেন। মহিলাদের অংশগ্রহনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা ও সৌখিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সরকারি ও বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ নাছিমা অকতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) শাস্বতী শীল উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন