দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। তাই হিলির আড়ত এবং খুচরা বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় খুশি পাইকাররা এবং খুচরা ক্রেতাদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরু থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১২৮টি ট্রাকে ৩ হাজার ৩১৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। ৬ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২০৩ ট্রাকে ৫ হাজার ৭৪৬ টন। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ২ হাজার ১২৯ টন বেশি ।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামালের দোকানে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আগে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৫-২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৯ থেকে ৩০ টাকা, গুজরাট জাতের পেঁয়াজ ৩২ এবং নগর জাত ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, এক সপ্তাহ আগেও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ কম ছিল। এ কারণে পেঁয়াজের দাম একটু বেশি ছিল। সে সময় আমরা প্রকারভেদে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন আমদানি বাড়ায় ওই পেঁয়াজই ২৫-২৮ টাকায় বিক্রি করছি। এভাবে আমদানি বাড়লে আগামীতে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিলি বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, এ মৌসুমে বাজারে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো। দামও ভালো ছিল। কিন্তু এখন ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আবারও কমতে শুরু করেছে দাম। সব ঠিক থাকলে সামনের দিন পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়বে এবং দামও কমে আসবে। আসন্ন রমজানে পেঁয়াজের দাম কম থাকবে বলে আশা করছি।
আনন্দবাজার/টি এস পি