সিরামিক খাতে দেশের বিনিয়োগ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে পণ্যটি রফতানি হওয়ায় সম্ভাবনাময় রফতানি খাত হিসেবে পণ্যটিকে চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্টরা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছিল পণ্যটির রফতানি। গত অর্থবছরেও এ খাতে রফতানি ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে এ খাতটি, পণ্যটির রফতানি কমে এসেছে ৭০ শতাংশের বেশি। বিশ্ববাজারের পণ্যটির চাহিদা মন্দাকেই এত বড় পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) তথ্য মতে, বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রফতানি হয় । মোট রফতানি পণ্যের ২০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে যায় এবং ৩০ শতাংশ যায় ইউরোপে। আর বাকি ৫০ শতাংশ রফতানি হয়ে থাকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে।
বিশ্বজুড়ে সিরামিক পণ্যের বাজার প্রায় ২ হাজার কোটি ডলারের। আর এতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব খুবই অল্প হলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে রফতানি চাহিদা ক্রমেই বাড়বে বলে ধারণা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ঘটেছে এর উল্টো। চাহিদা বাড়েনি কিন্তু কমেছে। আর চাহিদার ঘাটতি থাকার ফলে রফতানিতে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে সিরামিক পণ্য রফতানি হয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক, তাইওয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে। দেশের সিরামিক খাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০ টি। আরো প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠান এ শিল্পে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সিরামিক পণ্যের মধ্যে আছে টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারি ওয়্যার।
আনন্দবাজার/এফআইবি